ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের অবনতির পর থেকেই ই-কর্মাস পলিসিতে বদল আনতে চলেছে ভারত। ইতিমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে খসড়াও। সেখানে দেখা গিয়েছে মূলত দেশের স্টার্টআপ সংস্থাদের আরও ভালও কাজ করার ক্ষেত্র তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি কীভাবে সংস্থাগুলি তথ্য পরিচালনা করে সেই বিষয়টির দিকেও লক্ষ্য রাখা হবে।
প্রসঙ্গত, ভারতে অ্যামাজন, ফেসবুক, গুগলদের মতো বিশ্বের টেক জায়েন্টদের আধিপত্য কমাতে গত দুই বছর ধরে এই বিল নিয়ে কাজ চলছে ভারতে। সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গ জানতে পারে যে ১৫ পৃষ্ঠার এই খসড়ায় বলা হয়েছে যে সরকার ই-কমার্স নিয়ন্ত্রক সংস্থা মোতেয়েন করবে। যারা এই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিযোগীতা বহাল রাখার সঙ্গে সঙ্গে তথ্য মজুতের বিষয়টিও দেখভাল করবে। খসড়াটি বাণিজ্য ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য মন্ত্রক দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, চিনের সঙ্গে ৯০০ কোটির ব্যবসা বাতিল হিরো সাইকেলের
এই খসড়ায় এও বলা হয়েছে যে অনলাইন সংস্থাগুলির সোর্স কোড এবং অ্যালগরিদম অ্যাক্সেস দিতে হবে সরকারকে। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে এর ফলে 'ডিজিটাল জগতে একতরফা' বিষয় রুখতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে এবার থেকে 'এক্সপ্লেইনেবল এআই' (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ব্যবহার করছে কি না ব্যাণিজ্যিক সংস্থাগুলি সেই বিষয়টিও দেখা হবে।
আরও পড়ুন, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের কর সাশ্রয়ী বিনিয়োগের সময়সীমা বাড়াল কেন্দ্র
লকডাউনের পর থেকে ভারতে বৃদ্ধি পেয়েছে ডিজিটাল লেনদেন প্রক্রিয়া। এমনকী অর্থনীতির ক্ষেত্রেও এর ছাপ স্পষ্ট। মূলত গ্লোবাল টেক সংস্থার হাত ধরেই এই উত্থান। কিন্তু এর ফলে বসে গিয়েছে ভারতের লোকাল স্টার্টআপ সংস্থাগুলি। চিনের কয়েক ডজন অ্যাপ নিষিদ্ধ করার পর থেকেই স্থানীয় অ্যাপ প্রস্তুতকারকদের উপরই ভরসা রাখতে চাইছে মোদী সরকার।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন