দেশের আর্থিক অবস্থার অগ্রগতি ঘটল। এমনটাই বলছে জাতীয় মোট উৎপাদনের পরিসংখ্যান। বুধবার জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় (এনএসও) দ্বারা প্রকাশিত তথ্য অনুসারে চলতি আর্থিক বছরের (২০২২-২৩)-এর এপ্রিল থেকে জুন এই প্রথম তিন মাসে দেশের মোট উৎপাদন ১৩.৫ শতাংশ বেড়েছে। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকেও মোট জাতীয় উৎপাদন ২০.১ শতাংশ বেড়েছিল।
অর্থনীতিবিদরা আগেই জানিয়েছিলেন, ভারতের অর্থনীতি চলতি আর্থিক বছরের (২০২২-২৩) অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে দ্বিগুণ বাড়বে। সেই অনুমান কার্যত মিলে গিয়ে প্রকৃত মোট জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধি ঘটেছে ১৩ থেকে ১৬.২ শতাংশের মধ্যে। অর্থনীতিবিদদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভয়াবহতা এখন কিছুটা হলেও কমেছে। পাশাপাশি, পরিষেবা খাতে ব্যয় বেড়েছে। আর, তাতেই একবছর আগের মত না-হলেও, তার প্রায় কাছাকাছিই বেড়েছে মোট জাতীয় উৎপাদন।
এর আগে করোনা আবহ কাটিয়ে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের জানুয়ারি থেকে মার্চ, এই তিন মাসেও মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিডিপি ৪.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। সরকারি নথি অনুযায়ী, এপ্রিল থেকে জুন, এই ত্রৈমাসিকে মোট সংযোজিত মূল্য (জিভিএ) বেড়েছে ১২.৭ শতাংশ। পাশাপাশি মূল মূল্যের চেয়ে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে সংযোজিত মূল্য বেড়েছে ২৬.৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন- যান্ত্রিক ত্রুটিতে মার্কিন সেনায় চিনুক কপ্টার বাতিল, উদ্বেগের সঙ্গে পরিস্থিতিতে নজর ভারতের
জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জনপ্রশাসন, প্রতিরক্ষা এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলোর মোট সংযোজিত মূল্য ২৬.৩ শতাংশ বাড়লেও বাণিজ্য, হোটেল, পরিবহণ, যোগাযোগ এবং সম্প্রচার সম্পর্কিত পরিষেবাগুলো মোট সংযোজিত মূল্য বেড়েছে ২৫.৭ শতাংশ। এই সংযোজিত মূল্য নির্মাণ বিভাগে বেড়েছে ১৬.৮ শতাংশ। বিদ্যুৎ, গ্যাস, জল সরবরাহ এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পরিষেবার ক্ষেত্রে মোট সংযোজিত মূল্য বেড়েছে ১৪.৭ শতাংশ। আবার কৃষি, বনজ সম্পদ সংগ্রহ এবং মাছ ধরার পেশার ক্ষেত্রে মোট সংযোজিত মূল্য ৪.৫ শতাংশ বেড়েছে।
রাজস্ব ঘাটতি
অন্য এক সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রের রাজস্ব ঘাটতি ২০২২-২৩ জুলাইয়ের শেষে বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ২০.৫ শতাংশে পৌঁছেছে। যা একবছর আগে এই সময়ে ছিল ২১.৩ শতাংশ। সেই হিসেবে রাজস্ব ঘাটতি কমার অর্থ উন্নয়নে বরাদ্দ বৃদ্ধি। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি আর্থিক বছরের এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে প্রকৃত ব্যয় এবং সংগৃহীত রাজস্বের মধ্যে পার্থক্য ছিল ৩,৪০,৮৩১ কোটি টাকা। রাজস্বের ঘাটতি হলেই সরকার বাজার থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হয়। তাই রাজস্ব ঘাটতিতে সরকারি ঋণের প্রতিফলন বলা চলে।
Read full story in English