দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন টানা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও মন্থরতার কবলে। ২০২২ এর শেষ তিন মাস, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে দেশে জিডিপির হার ছিল ৪.৪ শতাংশ। এবারও জানুয়ারি থেকে-মার্চ, সেই হারই বজায় আছে। ত্রৈমাসিকের দ্বিতীয় মাসের শেষ তারিখে, ২৮ ফেব্রুয়ারি এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় তথ্য এবং প্রকল্প প্রয়োগ মন্ত্রক।
এই মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন গত বছর জুলাই-সেপ্টেম্বরে ছিল ৬.৩ শতাংশ। তা-ও একটা মুখ বাঁচানোর মত। কারণ, সরকার জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে ৭.০। তার ঠিক আগের ত্রৈমাসিক, অর্থাৎ গতবছর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত, এই তিনমাস বা ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপির হার ছিল ১৩.৫ শতাংশ।
এর আগের অর্থবর্ষে দেশের জিডিপির হার বেশি ছিল। স্বভাবতই লক্ষ্যমাত্রাও বেশি ছিল। অর্থাৎ, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে দেশে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯.১ শতাংশ। তার আগের বছরের তুলনায় সেবার লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছিল। কারণ, তারও আগের অর্থবর্ষে দেশে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮.৭ শতাংশ। তবে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষেও কিন্তু, লক্ষ্যমাত্রাকে ছুঁতে পারেনি দেশের জিডিপির হার।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সরকার জিডিপির মোট লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিল ১৪৯.২৬ লক্ষ কোটি টাকা। সেই তুলনায় একদশক আগে দেশের জিডিপির মোট লক্ষ্যমাত্রা অনেক বেশি ছিল। কারণ, সেই সময় জিডিপিও ভালো ছিল। ঠিক একদশক আগে দেশে জিডিপির মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫৯.৭১ লক্ষ কোটি টাকা।
জিডিপির হার যে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশ কম, তা নজরে এসেছে রিজার্ভ ব্যাংকেরও। দেশের প্রধান ব্যাংক ফেব্রুয়ারির গোড়াতেই তার আর্থিক নীতি কমিটির বৈঠকের সাক্ষী হয়েছে। আর, তারপরই জিডিপির লক্ষ্যমাত্রাও কমিয়েছে। অর্থমন্ত্রক তো লক্ষ্যমাত্রা ৭ শতাংশ ঠিক করেছিল। সেটা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। কিন্তু, তারপরই রিজার্ভ ব্যাংকের আর্থিক নীতি কমিটি পরিস্থিতি দেখে বুঝেছে, ওই লক্ষ্যমাত্রা কমাতে হবে।
আরও পড়ুন- সিবিআই হেফাজতে সিসোদিয়া, মুখ ফেরাল সুপ্রিম কোর্টও, সরকার থেকে পদত্যাগ মণীশ-সত্যেন্দ্রর
তারপরই লক্ষ্যমাত্রা ৬.৮ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে। শুধু তাই নয়, রিজার্ভ ব্যাংকের নীতি কমিটি ধরে নিয়েছে, এবারের অর্থবর্ষে শেষ দুই ত্রৈমাসিক ব্যাপক ভোগাবে। জিডিপির হার থাকতে পারে তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৪.৪ শতাংশ। আর চতুর্থতে ৪.২ শতাংশ।