Advertisment

কেন্দ্রীয় নীতির প্রতিবাদ, ব্যাঙ্কের পথে হেঁটেই দু’দিন ধর্মঘটে এবার বিমা কর্মীরা

শনিবার থেকে স্তব্ধ ব্যাঙ্কের কাজ। ১৩ মার্চ মাসের দ্বিতীয় শনিবার, বন্ধ ব্যাঙ্ক। পরের দিন ১৪ মার্চ, রবিবার। তার সঙ্গে জুড়েছে ১৫ ও ১৬ মার্চের এই ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনগুলোর ডাকা এই ধর্মঘট।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কলকাতার একটি ব্যাঙ্কে ধর্মঘটের সমর্থনে পোস্টার। ছবি: শশী ঘোষ

দু’দিন ব্যাপী ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে (Bank Strike) ইতিমধ্যে প্রভাবিত নগদ লেনদেন এবং এটিএম পরিষেবা। এবার মরার ওপর খাঁড়ার ঘা নিয়ে হাজির সধারন বিমা ধর্মঘট। বুধবার দেশব্যাপী এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই ধর্মঘটে শামিল হবেন জীবন বিমার বা এলআইসির (LIC) কর্মীরা। অর্থাৎ সপ্তাহের প্রথম চার দিন ব্যাঙ্ক-বিমা ধর্মঘটে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।

Advertisment

এদিকে, মঙ্গলবার ছিল ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের দ্বিতীয় তথা শেষ দিন। শহরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা ছিল বন্ধ। ক্যাশলেস হওয়ায় অকেজো এটিএমও। ফলে জরুরি ভিত্তিতে নগদ তোলা বা জমার ক্ষেত্রে বিস্তর সমস্যায় পড়েছেন আম আদমি। জানা গিয়েছে, মোদি সরকারের বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যাঙ্ক ও বিমা সংস্থারকর্মীরা। সেই সিদ্ধান্তের জেরেই সোমবার, মঙ্গলবার ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলির ডাকে দেশ জুড়ে ধর্মঘট চলছে। যদিও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির ইউনিয়ন এই ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছে না, পরিষেবা সচল রাখার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

ক্যালেন্ডার মেনে শনিবার থেকে স্তব্ধ ব্যাঙ্কের কাজ। ১৩ মার্চ মাসের দ্বিতীয় শনিবার, বন্ধ ব্যাঙ্ক। পরের দিন ১৪ মার্চ, রবিবার। তার সঙ্গে জুড়েছে ১৫ ও ১৬ মার্চের এই ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনগুলোর ডাকা এই ধর্মঘট। তবে, ব্যাঙ্ক ধর্মঘট হচ্ছে ইউএফবিইউ-এর ছাতার তলায়। বিলগ্নিকরণ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এই ধর্মঘটে শামিল অন্তত ১০টি ট্রেড ইউনিয়ন। অন্তত দশ লক্ষ ব্যাঙ্ককর্মী ধর্মঘটকে সমর্থনও করছেন। এবার বাজেটেই মোদি সরকারের তরফে জানানো হয় আরও দুটি ব্যাঙ্ককে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চাইছে সরকার। ছেড়ে দেওয়া হবে একটি বিমা সংস্থাকেও। এছাড়া এলআইসির শেয়ারও বিক্রির কথা ঘোষণা করা হবে। এই বেসরকারিকরণের প্রতিবাদ জানিয়েই পথে নামতে চাইছেন ব্যাঙ্ক ও বিমা কর্মীরা। অনেকটা কৃষি আন্দোলনের মতোই লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন তাঁরা।

ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ ও সংযুক্তি সংক্রান্ত একটি বিল চলতি বাজেট অধিবেশনে সংসদে পেশ করতে পারে মোদী সরকার। সেই আশঙ্কায় আরও বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ। ধর্মঘটীদের বক্তব্য, এই বেসরকারিকরণে সঞ্চিত অর্থের আর কোনও গ্যারান্টি থাকবে না। সরকার যদিও বলছে ব্যাঙ্কে তালা পড়লে অন্তত পাঁচ লক্ষ টাকার আমানত পর্যন্ত বিমা পাবেন গ্রাহকরা। কিন্তু প্রশ্ন থাকছে, যার এর থেকে বেশি অর্থ রয়েছে ব্যাঙ্কে, ঝাঁপ বন্ধ হলে সেই ব্যক্তি কী করবেন?’

Modi Government Bank Strike Insurance Strike
Advertisment