সামান্য স্বস্তি দিয়ে কমল দেশের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি। চলতি ভাষায় বলে গ্রাহক মূল্য সূচক। মে মাসে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি বা গ্রাহক মূল্য সূচক ছিল ৬.৩০%, গত মাসে সেই সূচক কমে দাঁড়িয়েছে ৬.২৬%। মে মাসের দেশের শিল্পোৎপাদন সূচক ২৯.৩%। দুটি পৃথক পরিসংখ্যান দিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া গ্রাহক মূল্য সূচকের সর্বোচ্চ সীমা ধরেছিল ৬%। পরপর দুই মাস সেই সীমা পেরিয়েছে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি। এর আগে টানা পাঁচ বাড় গ্রাহক মূল্য সূচক ৬%-এর নীচে ছিল। সম্প্রতি সরকার দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দিয়েছে গ্রাহক মূল্য সূচকের সর্বোচ্চ সীমা ৪% এবং সর্বনিম্ন সীমা ২%-এর মধ্যে বেঁধে রাখতে। ২০২৬-এ শেষ হওয়া পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অংশ হিসেনে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল।
আরবিআইয়ের দ্বি-মাসিক আর্থিকনীতির অংশ গ্রাহক মুল্যসূচক নির্ণয়। গত মাসে শীর্ষ ব্যাঙ্কের আর্থিক নীতি নির্ধারণ কমিটি রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছে ৪%। দ্বিতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে দেশীয় অর্থনীতিকে সুরাহা দিতেই এই সিদ্ধান্ত। এদিকে, চলতি মাসের প্রথমে ফের বাড়ল ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম। সিলিন্ডার পিছু দাম বেড়েছে সাড়ে ২৫ টাকা। এই মূল্যবৃদ্ধির জেরে কলকাতায় ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হল ৮৬১ টাকা। ফলে ফের চিন্তার ভাঁজ বাড়লো মধ্যবিত্তের কপালে। পাশাপাশি দাম বেড়েছে বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারেরও। বর্তমানে প্রতি বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১৬২৯ টাকা।
দিল্লির বাসিন্দাদের এখন থেকে ভর্তুকিহীন গ্যাস কিনতে দেওয়া হবে ৮৩৪ টাকা ৫০ পয়সা। মায়নগরী মুম্বইয়েও একই দামে সিলিন্ডার কেনা যাবে। তবে, চেন্নাইয়ের বাসিন্দাদের একটু বেশিতেই সিলিন্ডার কিনতে হবে। চেন্নাইয়ে এর দাম পড়বে ৮৫০ টাকা ৫০ পয়সা দিতে হবে। আহমেদাবাদে রান্নার গ্যাসের দাম হল ৮৪১ টাকা ৫০ পয়সা। উত্তরপ্রদেশে সিলিন্ডার কিনতে গেলে ৮৭২ টাকা ৫০ পয়সা দিতে হবে আম জনতাকে।
চলতি মাসের শুরু থেকেই দেশে গ্যাল সিলিন্ডারের দাম বাড়ছে। যদিও এপ্রিলে তা ১০ টাকা কমানো হয়েছিল। কিন্তু, আজ, ১লা জুলাই ফের সিলিন্ডার পিছু দাম বাড়ানো হল। বিগত ছয় মাসে ভর্তুকিবিহীন গ্যাসের দাম বাড়লো ১৪০ টাকা।
দেশে পেট্রল-ডিজেলের দাম একাধিক শহরে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে, এবার বাড়ল ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাস ও বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম। ফলে গৃহস্থের মাথায় হাত। এর আঁচ সর্বত্র পড়বে ও মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জ্বালানির দাম বাড়ায় অগ্নিমূল্য হয়েছে বাজারদর, বাস-ট্যাক্সি সহ গণপরিবহনের ভাড়াও ঊর্ধবমুখী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন