বার্ষিক ২৫ লক্ষ টাকা বা তার বেশি মাইনের কর্মীদের বেতন ১০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নীল কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক। বেসরকারি এই ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাবে ব্যবসায়িক ক্ষতি সামাল দিতেই এই পদক্ষেপ।
কয়েক সপ্তাহ আগে ব্যাঙ্কের শীর্ষ ম্যানেজমেন্ট ঘোষণা করে, ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে নিজেদের পারিশ্রমিকের ১৫ শতাংশ স্বেচ্ছায় কমিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা।
অর্থনীতির ওপর COVID-19 সঙ্কটের প্রবল প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবং বেতনে কাটছাঁট করেছে অজস্র কর্পোরেট সংস্থা। কিছু ক্ষেত্রে ছাঁটাই হয়েছেন বেশ কিছু কর্মী, যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে অসংগঠিত ক্ষেত্রে। ৩ মে'র আগের এক সপ্তাহে ভারতের বেকারত্বের হার ২৭ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায়, জানিয়েছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (সিএমআইই)।
কোটাক গোষ্ঠীর হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের প্রধান সুখজিত এস পসরিচা একটি অভ্যন্তরীণ বিবৃতিতে জানান, "প্রথমে যা মনে হয়েছিল দু-তিন মাসের ঘটনা, তা আজ মহামারীতে দাঁড়িয়েছে, জীবন ও জীবিকার ক্ষেত্রে যা গুরুতর নিহিত অর্থ বহন করছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ ভাবে, ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে যে এই মহামারী খুব তাড়াতাড়ি বিদায় নিচ্ছে না।"
তাঁর বিবৃতিতে পসরিচা আরও জানান, বেতনের এই নয়া কাঠামোর নেপথ্যে রয়েছে ব্যবসায়িক ধারণক্ষমতা বজায় রাখা। "আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মে ২০২০ থেকে ২০১২ আর্থিক বর্ষের জন্য আমাদের যেসব সহকর্মী বার্ষিক ২৫ লক্ষ টাকার বেশি বেতন পান, তাঁদের বেতন ১০ শতাংশ হ্রাস পাবে," তাঁর বিবৃতিতে বলেন তিনি।
ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর উদয় কোটাককে উদ্ধৃত করে বিবৃতিতে বলা হয়, "আমরা পরিচিত পরিবেশের বাইরে বেরিয়ে এসেছি, এবং আমরা সংস্থা হিসেবে, অর্থনীতি হিসেবে, দেশ হিসেবে, বিশ্ব হিসেবে, মানবজাতি হিসেবে, এই ঐতিহাসিক আবহ কীভাবে কাটিয়ে উঠব, তা স্রেফ সময় বলবে।"
এর আগে PM-CARES তহবিল এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থদানের কথা ঘোষণা করেন কোটাক নিজে, এবং কোটাক গোষ্ঠীও।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন