দেশজুড়ে টানা লকডাউন! কার্যত থমকে গেছে ভারত। করোনা সংক্রমণ আটকাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন, ধুকছে অর্থনীতি। একের পর এক মুখ কালো হয়ে আসা খবরের মাঝে আপনাকে দিতে পারি এক চিলতে স্বস্তি। আপনার, মানে আমার আপনার, মধ্যবিত্তের কিন্তু সাশ্রয় হয়েছে। হ্যাঁ করোনার প্রভাবে দেশের একাধিক সংস্থায় বেতন কাটা হচ্ছে ঠিকই। আপনার যদি তা না হয়, তবে কিন্তু সত্যিই সাশ্রয় হয়েছে। জানতে চান কীভাবে? আসুন তাহলে,
সপ্তাহান্তে সিনেমা দেখা বন্ধ
শনি-রবি হলেই মাল্টিপ্লেক্সে যে নতুন রিলিজ দেখার হিড়িক পড়ত, সে সব তো বন্ধ। তার বদলে বাড়িতেই এন্তার সিনেমা দেখেছেন টিভিতে। অতএব টিকিটের দাম বেঁচেছে। পরপর হপ্তা তিনেক পরিবারের সবার মাল্টিপ্লেক্সের টিকিট বাঁচানো কিন্তু নেহাত কম কথা নয়।
পার্লারের খরচ নেই
ভুরু দুটো শুঁয়োপোকার মতো হয়ে গেছে? চুলের আগা ফেটেছে, ত্বক রুক্ষ হচ্ছে? পার্লার গেলেই সমাধান হতো, তবে চাপ পড়ত ট্যাঁকে। কিন্তু এবার নিরুপায় আপনি। ঘর থেকে পা ফেলতেই পারছেন না, পার্লার যাবেন কী করে? তার চেয়ে মা মাসিদের মতো মুখে দই মেখে, মাথায় ডিম-মধুর প্যাক মেখে কাজ চালাতে হচ্ছে।
যখন তখন জোম্যাটো, সুইগি করার জো নেই
আপিসে হোক, বা বাড়িতে, পেট চুই চুই করলেই যে হাতে উঠে আসত মোবাইল, অর্ডার দিতেন চিলি পর্ক রাইস কিমবা হট গার্লিক মোমো, সে সব এখন অতীত। বিকেল হলে চায়ের সঙ্গে জুটছে বড় জোর মুড়ি মাখা। খরচ তো বাঁচছে মশাই।
অনলাইন কেনাকাটাও গেছে ভেস্তে
রবিবারের পাঠার ঝোল সহযোগে বিছানায় গা এলিয়ে যে পটাপট অনলাইন অর্ডার দিতেন, আর অফিসে রিসিভ করতেন সারি সারি শাড়ি, কুর্তি, কস্মেটিক্স, জুতো অথবা নিত্যনতুন গেজেট, এখন সে সব কই? করোনার জন্য আপনার দররগোড়ায় ডেলিভারি দেওয়াই বন্ধ করেছে অধিকাংশ অনলাইন বিপণন সংস্থা।
ট্রাম বাস মেট্রোর টিকিটের লাইন তো শুধু স্মৃতিতে
আহা অফিসের চেয়ে যেন বাড়ি থেকে অফিস আর অফিস থেকে বাড়ি যাতায়াতটাই অনেক বেশি ক্লান্তিকর, তার ওপর পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়ছে বলে বেড়েই চলেছে টিকিটের দাম। তার চেয়ে বাবা এই ধের ভালো, বাড়ি বসেই দিব্যি চলছে কাজ!