/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/10/lockgate.jpg)
বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। প্রতীকী ছবি।
পুজোর মুখে বন্ধ হতে চলেছে কলকাতার তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। বুধবার কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কলকাতার ন্যাশনাল জুট ম্যানুফ্যাকচারার্স কর্পোরেশন (এনজেএমসি), বার্ডস জুট অ্যান্ড এক্সপোর্ট (বিজেইএল) এবং বিকো লরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। সংস্থাগুলি লোকসানে চলছে এবং কোনওভাবেই এগুলির পুনরুজ্জীবন সম্ভব নয় বলে মনে করছে কেন্দ্র। সরকারি সূত্রে খবর, এই তিন সংস্থার মধ্যে কেবল বিকো লরি-র পে রোলেই বেশ কিছু কর্মী রয়েছেন। তাঁদের স্বেচ্ছাবসর গ্রহণ করতে বলা হবে। অন্য দুই সংস্থায় কোনও কর্মী নেই বলে জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রের যুক্তি, এই তিন সংস্থার হাতে যা জমি ও পরিকাঠামো রয়েছে তা বিক্রি করে লোকসানের দায় মেটানো যাবে এবং বাকি টাকা সরকারি কোষাগার থেকে জনকল্যাণের কাজে ব্যবহার করা হবে। উল্লেখ্য, কেন্দ্র ইতিমধ্যে লোকসানে চলা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই তিন সংস্থার ক্ষেত্রেও তাই হল।
প্রসঙ্গত, এনজেএমসি এবং তার অধীনস্থ বিজেইএল ১৯৯৩ সাল থেকে লোকসানে চলছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। এনজেএমসি-র অধীনে থাকা চটকলগুলি মূলত চটের ব্যাগ প্রস্তুত করে বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে বিক্রি করত। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে চটের ব্যাগের চাহিদা আর বাড়ার কোনও সম্ভবনা নেই। তাই এই সংস্থার ঘুরে দাঁড়ানোও কার্যত অসম্ভব বলে মনে করছে কেন্দ্র। এনজেএমসি-কে বিএফআইআর-এও পাঠানো হয়েছিল। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের অধীনস্থ বিকো লরি সুইচ গিয়ার তৈরি করত। কলকাতা-কেন্দ্রিক এই কোম্পানিটির পুনরুজ্জীবনে প্রচুর টাকা খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তা যোগানো সম্ভব নয় বলেই এটিকেও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুজোর মুখে কলকাতার এই তিন কেন্দ্রীয় সংস্থায় তালা পড়ায় এখানকার কর্মীদের পরিবারের আনন্দ তো মাটি হলই, তার সঙ্গে তৈরি হল গভীর সঙ্কট। শুধু কর্মীদের পরিবারই নয়, এইসব সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকা অন্যান্য মানুষদের জীবনেও অন্ধকার নেমে এল। পুজোর মুখে কেন্দ্রীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্তে চরম আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেছেন রাজ্যের অন্যান্য ধুঁকতে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মীরাও।