মোদী সরকার সোমবার ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে তার ৬ কোটিরও বেশি গ্রাহকের জন্য ৮.১৫ শতাংশ সুদের হার অনুমোদন করল। কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিল সংস্থার (ইপিএফও) কেন্দ্রীয় বোর্ড অফ ট্রাস্টি এই সুদের হার বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিল। আজ (২৪ জুলাই, ২০২৪- সোমবার) জারি করা এক সার্কুলারে ইপিএফও বলেছে যে কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক সদস্যদের ইপিএফও অ্যাকাউন্টে উচ্চতর সুদের হার জমা দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক সুদের হার বৃদ্ধির সুপারিশ অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রকে পাঠিয়েছিল। সেটা পাওয়ার পর, ভারত সরকারের শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রক ১৯৫২-এর অনুচ্ছেদ ৬০ (১)-এর অধীনে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিল প্রকল্পে ২০২২-২৩ সালের জন্য প্রতিটি সদস্যের অ্যাকাউন্টে ৮.১৫% হারে সুদ ক্রেডিট করার অনুমোদন দিয়েছে। সুদের নতুন হারে সরকারের সম্মতির পরে, ইপিএফও এখন গ্রাহকদের পূর্ববর্তী অর্থবছরের সুদের হারে টাকা জমা শুরু করবে।
এটি ইপিএফ সুদের হারের জন্য অর্থ মন্ত্রকের দেওয়া দ্রুততম অনুমোদনগুলির মধ্যে একটি। ২০২১-২২ এর জন্য, কেন্দ্রীয় সরকার গত বছরের ৩ জুন সুদের হার অনুমোদন করেছিল। যাইহোক গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হল- অনুমোদনের পর সদস্যদের অ্যাকাউন্টে সুদ জমা দেওয়া। গত বছর, অনেক ইপিএফ গ্রাহকরা জুনের প্রথম দিকে সম্মতি সত্ত্বেও সুদের হার ক্রেডিট করতে বিলম্বের বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন। অর্থ মন্ত্রক তখন অক্টোবরে স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে ইপিএফওর গ্রাহকদের জন্য সুদের হারের কোনও সমস্যা হবে না। একইসঙ্গে অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছিল, ২০২২ অর্থবর্ষের জন্য সুদের হার জমা দেওয়ার বিলম্বটি গত বছর চালু করা করের হার পরিবর্তনের সময় সফটওয়্যার আপগ্রেডের কারণে হয়েছিল।
আরও পড়ুন- চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং, আচমকা তাঁর জনসমক্ষে অনুপস্থিতি নিয়ে এত জল্পনা কেন?
এই বছরের মার্চে ইপিএফওর সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ (সিবিটি) চলতি আর্থিক বছরে (২০২২-২৩) তার ৬ কোটিরও বেশি গ্রাহকদের জন্য ৮.১৫ শতাংশ সুদের হার সুপারিশ করেছিল। যা আগের বছরের সুদের হার ৮.১ শতাংশের চেয়ে সামান্য বেশি। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নতুন সুদের হার ৮.১৫ শতাংশ পেআউটের পরেও অবসর তহবিল সংস্থার কাছে ৬৬৩.৯১ কোটি টাকার উদ্বৃত্ত থাকবে।