এ যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া। এমনিতেই দেশের আর্থিক হাল তলানিতে। এই সংকটের মধ্যে এবার কর আদায়ে জোর অস্বস্তিতে মোদী সরকার। দু’দশকে এই প্রথমবার প্রত্যক্ষ কর আদায়ে ঘাটতি ঘটেছে দেশে। সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে এমন কথাই জানিয়েছেন একাধিক কর কর্তা। দেশে কর্পোরেট ও ব্যক্তিগত কর আদায়ে এবার আশানুরূপ ফল হয়নি বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতের আর্থিক মন্দা সাময়িক: আইএমএফ প্রধান
উল্লেখ্য, দেশে ১৩.৫ ট্রিলিয়ন প্রত্যক্ষ কর আদায়ের টার্গেট করেছিল মোদী সরকার। যা ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের থেকে ১৭ শতাংশ বেশি। কিন্তু জানা যাচ্ছে, ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারের ঘরে যে কর আদায় হয়েছে তা গত অর্থবর্ষে জানুয়ারিতে জমা হওয়া করের তুলনায় ৫.৫ শতাংশের থেকেও কম। এ প্রসঙ্গে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘টার্গেট তো ভুলে যান। এই প্রথম প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহে এত ঘাটতি হচ্ছে এবার’’। প্রসঙ্গত, দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। এই প্রেক্ষাপটে প্রত্যক্ষ কর আদায়ে ঘাটতি বিরোধী শিবিরের নয়া হাতিয়ার হবে বলেই ব্যাখ্যা ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।
আরও পড়ুন: ভারতের আর্থিক মন্দা সাময়িক: আইএমএফ প্রধান
অন্যদিকে, ভারতের জাতীয় আয় বৃদ্ধির হার ক্রমশ নিম্নমুখি। গত কয়েক বছরের তুলনায় যা রেকর্ড। এই নিম্নমুখিতাকে অবশ্য ‘সাময়িক’ বলেই দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের প্রধান ক্রিষ্টিয়ানা জোর্জিয়েভা। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতের অর্থনৈতিক মন্দা সাময়িক। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই তার উন্নতি হবে’’। ক্রিষ্টিয়ানা জোর্জিয়েভা জানান, ‘অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার বেশ কম। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আরও আক্রমণাত্মক নীতি ও পরিকাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজন।’ দাভোসে চলছে আইএমএফের সম্মলন। সেখানে ২০১৯ সালের তুলনায় অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ৩.৩ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে। এই পরিমাণ ২১ সালের জন্য ধার্য হয়েছে ৩.৪ শতাংশ।
Read the full story in English