Advertisment

আত্মনির্ভর হতে মোবাইল-গহনা-বস্ত্র সহ ১০ ক্ষেত্রে আমদানি কমানোর পথে ভারত

এইসব ক্ষেত্রে উন্নত গুণমান বজায় রেখে উৎপাদন বৃদ্ধির দিকেও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

'আত্মনির্ভর ভারত' গড়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যা বাস্তবায়িত করতে মোবাইল, শীতাতপ যন্ত্র, গহনা, বস্ত্র সহ প্রায় ১০টি ক্ষেত্রে আমদানি কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এইসব ক্ষেত্রে উন্নত গুণমান বজায় রেখে উৎপাদন বৃদ্ধির দিকেও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

Advertisment

ইতিমধ্যেই শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বানিজ্য মন্ত্রকের বিপণন বিভাগ- ভারী ও উৎপাদন মন্ত্রকের সঙ্গে আমদানি নির্ভরতা কমানোর বিষয়ে আলোচনা করেছে। এক্ষেত্রে মোবাইল, ইলেকট্রনিক্স, গহনা, ওষুধ, বস্ত্র, জামাকাপড়ের মতো ১০টি ক্ষেত্রকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এইসব ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি করে আমদানি কমানো সম্ভব বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু আমদানি কমানোই নয়, প্রয়োজনে ক্রমেই রফতানির দিকেও গুরুত্ব বৃদ্ধি হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন, শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বানিজ্য মন্ত্রকের বিপণন বিভাগের সচিব গুরুপ্রসাদ মহাপাত্র।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি এক আধিকারিকের কথায়, 'যতটা সম্ভব আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে। ফলে এইসব দ্রব্যের দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে রফতানি বৃদ্ধির দিকেও নজর দিতে হতে পারে।' এছাড়াও তিনি বলেন, 'কাজ শুরু হয়েছে। বিনিয়োগ টানতে সরকার সচেষ্ট, এই ১০ ক্ষেত্রে ভারতকে উৎপাদন গন্তব্যে পরিণত করাই এখন অন্যতম লক্ষ্য।'

প্রধানমন্ত্রী মোদীও মঙ্গলবার সিআইআই-য়ের অনুষ্ঠানে আমদানি নির্ভরতা কমানোর কথা বলেছিলেন। বিশেষ করে তাঁর কথায় উঠে এসেছিল বাতানুকূল যন্ত্র আমদানির প্রসঙ্গ। ভারতে প্রতি বছর প্রায় ৩০ শতাংশ বাতানুকূল যন্ত্র আমদানি করা হয়। পরিসংখ্যান দেখা যাচ্ছে যে, এই ক্ষেত্রের প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার বাজার আমদানির উপর নির্ভরশীল। ভারতে স্প্লিট এসি-র বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে জাপানের কয়েকটি সংস্থা।

এ প্রসঙ্গে বানিজ্য বিশেষজ্ঞ বিশ্বজিৎ ধর জানিয়েছেন, 'গুণমান ঠিক রেখে দেশিয়স্তরে উৎপাদন বাড়াতে হবে। রফতানির ক্ষেত্রে ডাব্লুটিও-এর বিধি মেনেই করের বিষয়টি নির্ধারণ করতে হবে। লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমাদের অনেক বেশি কৌশলী হতে হবে।'

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

national news
Advertisment