ফোর্বস তালিকায় এশিয়ার ধনী ব্যক্তি নির্বাচিত হলেন মুকেশ আম্বানি। এই বছর তিনি পিছনে ফেলেছেন আলিবাবার কর্ণধার চিনা শিল্পপতি জ্যাক মা-কে। রিলায়েন্স কর্ণধারের সম্পত্তির পরিমাণ ৮৪.৫ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বতালিকায় দশম স্থানে আছেন আম্বানি। এদিকে, পরপর চার বার বিশ্বের ধনীতম হিসেবে ফোর্বস তালিকায় নাম তুললেন অ্যামাজন কর্ণধার জেফ বেজোস। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত এক বছরে প্রায় ৬৪ বিলিয়ন বেড়েছে বেজসের সম্পদ। এমনটাই ফোর্বস সুত্রে খবর।
ফোর্বস তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে সবাইকে চমকে দিয়ে প্রায় ১২৬ বিলিয়ন ডলার সম্পদ বাড়িয়ে উঠে এসেছেন স্পেস এক্স-এর কর্ণধার ইলন মাস্ক। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সুত্রের খবর, বাজারে হঠাৎ করে টেসলা মোটর্সের শেয়ার বেড়ে যাওয়ায় প্রভাবিত মাস্কের সম্পদ।
এদিকে, ফোর্বস তালিকায় ২০২১ সালে ভারতের ধনীতম শিল্পপতি হিসেবেও রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুকেশ অম্বানী। দ্বিতীয় স্থানে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। তালিকায় বলা, অম্বানীর সম্পত্তির পরিমাণ ৮৪.৫ বিলিয়ন ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা। অন্য দিকে আদানির সম্পত্তির পরিমাণ ৫০.৫ বিলিয়ন ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার কোটি টাকা।
গত ১ বছর ধরে কোভিড অতিমারির জেরে ভারতের অর্থনীতির অবনতি হলেও শেয়ার বাজারে উন্নতি দেখা গিয়েছে। গত ১ বছরে সেনসেক্সে বৃদ্ধি হয়েছে ৭৫ শতাংশ। এই শেয়ার বাজারে বৃদ্ধির প্রভাব ভারতের শিল্পপতিদের সম্পত্তির বৃদ্ধিতেও দেখা গিয়েছে।
গত ১ বছরে শুধুমাত্র জিয়ো থেকেই প্রায় ২ লক্ষ ৫৯ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া ২০২১ সালে কোম্পানির দেনার পরিমাণও একদম কমিয়ে ফেলেছেন তিনি। খুচরো ব্যবসাতেও পা রেখেছেন রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান। ফিউচার গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করে ভারতের খুচরো বাজারেও নিজের ছাপ ফেলতে চান তিনি।
গত ১ বছরে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক কোম্পানি যেমন ফেসবুক, গুগলের সঙ্গেও চুক্তি করেছেন অম্বানী। নিজের কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করেছেন। তার থেকেও আর্থিক লাভ হয়েছে ভারতের এই ধনকুবেরের। এভাবেই বেড়েছে সম্পত্তির পরিমাণ।
গত ১ বছরে বিশ্ব কোটিপতিদের তালিকা ১০২ থেকে বেড়ে ১৪০ হয়েছে। তাঁদের মিলিত সম্পত্তির পরিমাণও প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে হয়েছে ৫৯৬ বিলিয়ন ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৪ লক্ষ কোটি টাকা।