পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে (পিপিএফ) টাকা রাখার ট্রেন্ড আজকের নয়। সুনিশ্চিত রিটার্ন পেতে হলে সবচেয়ে ভরসাযোগ্য আশ্রয় পিপিএফ। পিপিএফ এ টাকা রাখার সময় যে ক’টি বিষয় মাথায় রাখা খুব দরকার, সেগুলি দেখে নিন এক নজরে।
৭.৯ শতাংশ রিটার্ন
বর্তমানে পিপিএফ -এ সুদের হার ৭.৯ শতাংশ। তবে এই হার পরিবর্তনশীল। এখনও পর্যন্ত পিপিএফ অ্যাকাউন্টে রাখা টাকার ওপর কোনও কর ধার্য করা হয়নি। অর্থাৎ আপনি কর ছাড় চাইলে বেশি পরিমাণ টাকা রাখুন পিপিএফ অ্যাকাউন্টে।
বাড়তি পাঁচ বছর চালানোর সুযোগ
১৫ বছর পর পিপিএফ-এ জমানো অর্থ ম্যাচিওর করে গেলে আপনার কাছে দু’টি বিকল্প থাকে। এক, আপনি অ্যাকাউন্ট ক্লোজ করে দিতে পারেন। অথবা ৫ বছরের জন্য ফের রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি নতুন করে কিছু টাকা রাখতে চান, তবে জানাতে হবে ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট শাখায়। তা নাহলে আগে যে পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করেছিলেন, তা নিয়েই পরবর্তী ৫ বছরের জন্য বেড়ে যাবে পিপিএফ ডিপোজিট।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের ব্যালেন্স জানবেন কী ভাবে?
কিছু পরিমাণ টাকা তোলা যাবে
পিপিএফ-এ টাকা জমানো শুরু করার ৭ বছর পর থেকে আপনি বছরে একবার করে টাকা তুলতে পারবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে একটা সীমা রয়েছে। ৪ বছরের শেষে আপনার পিপিএফ অ্যাকাউন্টে যে টাকা জমা হয়েছে তার ৫০ শতাংশের বেশি টাকা তোলা যাবে না। কিন্তু সেক্ষেত্রে কর ছাড় পেতে গেলে আয়কর ফাইল করার সময় এর বিস্তারিত উল্লেখ করতে হবে।
ম্যাচিওর হওয়ার আগেই টাকা তোলা যায়
ন্যূনতম পাঁচ বছর পিপিএফ অ্যাকাউন্টে টাকা রাখলে তবেই ম্যাচিওর হওয়ার আগে টাকা তোলা যাবে। সে ক্ষেত্রে কিছু শর্ত থাকে। অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের মৃত্যু, অথবা চিকিতসার ক্ষেত্রে, অথবা স্বামী /স্ত্রী / অভিভাবক/ সন্তানের কোনও কঠিন ব্যধি হলে/ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি নাবালক হলে তার উচ্চশিক্ষার জন্য সেই টাকা তোলা যেতে পারে।
পিপিএফ-এর পরিবর্তে ঋণ
টাকা রাখার তিন থেকে ৬ বছরের মধ্যবর্তী সময়ে ঋণ পিপিএফ-এর পরিবর্তে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়া যায়। দু’বছরের শেষে যে পরিমাণ অর্থ জমেছে, তার ২৫ শতাংশ ঋণ নেওয়া যায়। ঋণের অনুমতি মেলার তিন বছরের মধ্যে সুদ সমেত শোধ করতে হয়।
পিপিএফ অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফারযোগ্য
আপনার চাকরি বদল হলে, অথবা অন্য শহরে বদলি হয়ে গেলে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করানো যায়। সেক্ষেত্রে আপনার ব্যাঙ্ক অথবা পোস্ট অফিসে বিষয়টি জানাতে হবে।