চলতি আর্থিকবর্ষে দেশের আর্থিকবৃদ্ধি হতে পারে ৯.২%। জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া শেষ ত্রৈমাসিকে, মার্চ পর্যন্ত এই বৃদ্ধির সম্ভাবনা। শুক্রবার এমন পূর্বাভাস দিয়েছে জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস বা ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স অফিস। কৃষি, খনি এবং উৎপাদন শিল্পের হাত ধরে এই বৃদ্ধি ছুঁতে পারে দেশের অর্থনীতি। এমন ইঙ্গিত দিয়েছে ওই সংস্থা। যদিও গত অর্থবর্ষ শেষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি দাঁড়িয়েছিল ৭.৩%। সেই চিত্রের কিছুটা বদল করোনার তৃতীয় ঢেউ আবহে সম্ভব। এমনটাই ধারনা অর্থনীতিবিদদের।
তবে ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স অফিসের দেওয়া পরিসংখ্যানের সঙ্গে মিল নেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাসে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ডিসেম্বরে জারি করা আর্থিক নীতির ঘোষণার সময় অর্থবর্ষ শেষে জিডিপির হার ৯.৫% দাবি করেছিল। অর্থনীতিবিদদের দাবি, ‘এক মাসে দেশে বেড়েছে সংক্রমণের মাত্রা। তার প্রভাব পড়তে পারে আর্থিক বৃদ্ধিতে।‘
এদিকে, করোনায় নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই দেশের ঋণনীতি ডিসেম্বরে অপরিবর্তিত রেখেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ঋণনীতিতে স্থিতাবস্থা বজায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখে। এই নিয়ে টানা ৯ বার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল দেশের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক। রেপো রেট থাকল আগের মতোই ৪ শতাংশ।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়েছেন, মনেটরি পলিসি কমিটি সর্বসম্মত ভাবে ৫-১ ভোটে অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেপো রেট আগের মতোই ৪ শতাংশ থাকছে। পাশাপাশি, রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত থাকছে ৩.৩৫ শতাংশ।
মার্জিনাল স্ট্যান্ডিং ফেসিলিটি রেট এবং ব্যাঙ্ক রেটও অপরিবর্তিত থাকছে ৪.২৫ শতাংশ। উল্লেখ্য, গত বছর মে মাসে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সুদের হার অনেকটাই কমিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। করোনা অতিমারির কারণে দেশের অর্থনীতিকে ধাক্কা সামলানোর সুযোগ দিয়ে নীতি পরিবর্তন করে রেপো রেট কমিয়ে দেওয়া হয়।
দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার নিয়ে শক্তিকান্ত বলেছিলেন, জিডিপি বৃদ্ধি ৯.৫ শতাংশই থাকছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের প্রথামার্ধে ১৩.৭ শতাংশ হারে বেড়েছে জিডিপি। এই সময়কালে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়া ছাড়া লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রয়েছে বৃদ্ধির হারে। তবে মুদ্রাস্ফীতি একটা চিন্তার জায়গায় থাকছে দেশের অর্থনীতির জন্য
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে পড়তে থাকুন