প্রায় ২৭ বছর হয়ে গিয়েছে বেসরকারি সংস্থাদের দেশে ব্যাঙ্ক তৈরির অনুমতি দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ১৯৯৩ সালে প্রথম এই অনুমতি দেয় দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। যদিও এই সিদ্ধান্তকে অনেকে যেমন সমর্থন করেছে, অনেকে আবার বিপক্ষেও রয়েছে।
এমনই কয়েকজন সিদ্ধান্ত সমর্থনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। আরবিআই-এর বিশেষ অভ্যন্তরীণ কমিটি থাকা দশ জনের মধ্যে তিন জন জানিয়েছেন অনেক সংস্থা আছে যারা প্রয়োজনীয় মূলধন, ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারে। বন্ধন ব্যাঙ্কের সিইও এবং এমডি চন্দ্র শেখর ঘোষ বলেন, "অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের বৃদ্ধির জন্য আরও ব্যাঙ্কের প্রয়োজন আছে। কর্পোরেট সংস্থা আর কেউ নেই যারা ব্যাঙ্ক চালাতে পারে। আমাদের দেশে মানুষের কাছ অবধি পৌঁছতে আরও ব্যাঙ্কের দরকার।"
আরবিআইয়ের ওয়ার্কিং গ্রুপের এক বিশেষজ্ঞ আবিজের দিওয়ানজি ব্যাঙ্কিং সেক্টরে কর্পোরেটদের প্রবেশের বিষয়ে বলেন, ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্টকে আরও শক্তভাবে পরিচালনা করতে হবে। একই মত বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রধানের। চন্দ্র শেখর ঘোষের মতে, নতুন নিষেধাজ্ঞা ব্যাঙ্কিং আইনে আনতে পারেন রেগুলেটররা। কর্পোরেটদের অনেকেই খুব ভাল, তাঁদের সংস্থাও ভাল। আপনি সেক্ষেত্রে তাঁদের না করবেন কীভাবে?"
এদিকে, আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের মতে কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে ব্যাঙ্ক খুলতে দিলে আর্থিক কাঠামো ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। একই সুর শোনা গিয়েছে প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্যের কথাতেও। তাঁরা সতর্ক করেছে যে যে সব সংস্থার ঘাড়ে বিপুল ঋণের বোঝা তাঁরা লাইসেন্স পেতে ঝাঁপাতে পারবে। এতে স্বার্থের সংঘাত তৈরি হবে।
এই দুই প্রাক্তন কর্মকর্তার মতে শুধু আইন করেই যদি নিয়ম ও নজরদারি কার্যকর করা যেত, তা হলে অনুৎপাদক সম্পদের সমস্যা থাকত না। তা ছাড়া, কর্পোরেট সংস্থাকে ব্যাঙ্ক খুলতে না-দেওয়ার কারণ মূলত দু’টি। প্রথমত, তারা নিজেরাই ব্যাঙ্ক চালালে চাইলে নজরদারি ছাড়া টাকা হাতে পাবে। দ্বিতীয়ত, এতে অর্থনৈতিক (এবং রাজনৈতিক) ক্ষমতা কুক্ষিগত হবে নির্দিষ্ট কিছু সংস্থার হাতে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন