ভারতের আর্থিক মন্দার পরিস্থিতি পালটাতে একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। শনিবার দুপুরে রাজধানীতে সাংবাদিক বৈঠক করে একাধিক কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী।
দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার পথে, জানিয়েছেন সীতারামণ। মুদ্রাস্ফীতির হার ৪ শতাংশের কমে নেমে আসায় আশাবাদী সরকার। সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানালেন ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে সংস্কারের পর কেন্দ্রের লক্ষ্য কর ব্যবস্থার সংস্কার।
কেন্দ্র ক্ষুদ্র-মাঝারি এবং অতিক্ষুদ্র শিল্পে (এমএসএমই) ঋণের পরিমাণ বাড়ানো ও সরলীকরণের পথে হাঁটছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন, নতুন প্রজন্মের অ্যাপ ক্যাব প্রীতি গাড়ি বাজারে মন্দার কারণ, বললেন নির্মলা
অসমাপ্ত আবাসন প্রকল্পে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। দেশের রফতানির বাজার শক্তিশালী করতে দেশের ৪টি জায়গায় দুবাইয়ের ধাঁচে মেগা শপিং ফেস্টিভ্যালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন কর সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ এখন থেকে হবে অনলাইনেই। দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়াতে ছোটোখাটো কর ফাঁকিতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন সীতারামণ।
বস্ত্রশিল্পের রফতানিতে বর্তমানে চালু মার্কেনডাইজ এক্সপোর্টস ফ্রম ইন্ডিয়া স্কিম বা এমইআইএস-এ নীতি আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকরী থাকবে। আগামী ১ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে বস্ত্রশিল্পে রফতানির ক্ষেত্রে নতুন প্রকল্প চালু হবে।
আরও পড়ুন, কোনও ব্যাঙ্ক বন্ধ হবে না, কারও চাকরি যাবে না, ঘোষণা সীতারমণের
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, এমএসএমই-র জন্য ব্যাঙ্কের ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মকানুনের সরলীকরণ করা হচ্ছে। শুধু সরকারি ব্যাঙ্কের পাশাপাশি দেশের সমস্ত বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিকেও সরকারি নীতি অনুসরণ করতে হবে। এ ব্যাপারে আগামী বৃহস্পতিবার বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্র।
অন্যদিকে দিন দুয়েক আগেই দেশের অর্থনৈতিক মন্দার জন্য বিমুদ্রাকরণ এবং ভুল উপায়ে পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি)-এর প্রণয়নকেই দায়ী করলেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা অর্থনীতিবিদ ডাঃ মনমোহন সিং। হিন্দি সংবাদপত্র ‘দৈনিক ভাস্করকে’ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডাঃ সিং বলেন, শিরোনাম তৈরির অভ্যেস থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে সরকারকে। ভারতের আর্থিক মন্দা থেকে উত্তরণের উপায় হিসেবে পাঁচটি উপায় বাতলেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
“অনেক সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে নানা ঘোষণা না করে সরকারের উচিত গোটা অর্থনীতিটাকে নিয়ে ভাবা,” জানিয়েছেন ডাঃ সিং। তাঁর মতে, দেশ যে বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে, সেটা সবচেয়ে আগে স্বীকার করে নিতে হবে।