ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) প্রাক্তন সিইও চিত্রা রামাকৃষ্ণা-র বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলার জারি করেছে সিবিআই। একই পদক্ষেপ করা হয়েছে, সংস্থার আরেক প্রাক্তন সিইও রবি নারাইণ ও প্রাক্তন সিওও অনন্দ সুব্রহ্মণ্যমের বিরুদ্ধে। এনএসই-তে থাকাকালীন এই তিন জনের বিরুদ্ধে পদের অপব্যবহার করে সুবিধা ভোগের অভইযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে তার জন্যই লুকআউট সার্কুল জারি করা হয়েছে বলে সিবিআই জানিয়েছে।
চত্রার বিরুদ্ধে টিক বাই টিক ম্যানিপুলেশন মামলা ও হিমালয়ে বসবাসকারী এর যোগীর সঙ্গে এনএসই-র গোপন তথ্য ভাগ করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে নেমেই এনএসই-র প্রাক্তন সিইও চিত্রা রামাকৃষ্ণাকে গ্রেফতার করা হয়। জেরা করা হচ্ছে তাঁকে। সেই সূত্রেই উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ওই যোগীই নাকি স্টক এক্সচেঞ্জ চালাতেন, আর চিত্রা ছিলেন তাঁর হাতের পুতুলে। এমনটাই মনে করছে সিবিআই। যদিও, চিত্রার দাবি, ওই যোগী আদতে এক দৈবপুরুষ। যিনি হিমালয়েই থাকেন। তাঁর কোনও পার্থীব শরীর নেই। চিত্রা সঙ্গে সেই যোগী ই-মেইলে যোগাযোগ করতেন। এই যোগীর নির্দেশেই নাকি সংস্থায় সব নিয়োগ হত।
এপ্রিল ২০১৩-ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএসই-র শীর্ষপদে ছিলেন চিত্রা। তাঁর পর তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও আশ্চর্যজনক ভাবে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করার কথা তোলেনি এনএসই বা কেন্দ্র। তাঁর বকেয়া ৪৪ কোটি টাকাও মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। চিত্রা, আর এক প্রাক্তন সিইও রবি নারাইণ, আনন্দ সুব্রহ্মণ্যম এবং আরও এক কর্তাকে নিয়ম ভাঙার জন্য মোটা অঙ্কের জরিমানা করা ছাড়া বলা হয়েছে তিন বছর বাজারের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না তাঁরা।
বৃহস্পতিবার, মুম্বইতে আয়কর (আইটি) বিভাগের তদন্ত শাখা রামকৃষ্ণর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। কর বিভাগ চেন্নাইতে এনএসই-র প্রাক্তন গ্রুপ অপারেটিং অফিসার আনন্দ সুব্রহ্মণ্যমের বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছিল।
Read in English