পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকার জালিয়াতি কাণ্ডে পলাতক নীরব মোদীকে অর্থনৈতিক অপরাধীর তকমা দিল মুম্বই আদালত। পলাতক অরথনইতিক অপরাধী আইনের আওতায় বিজয় মালিয়ার পর নীরব মোদীকেই প্রথম এই তকমা দেওয়া হল।
জুলাই, ২০১৮ তে ইডি জালিয়াতি বিরোধি আইনের আওতায় নীরব মোদীকে পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধীর তকমা দেওয়ার জন্য আবেদন করে। মোদীর আইনজীবী সে সময় জানিয়েছিলেন তাঁকে অর্থনৈতিক অপরাধীর তকমা দেওয়া যাবে না।
আইন অনুযায়ী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অপরাধের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলে এবং ব্যক্তি অপরাধ করার পর দেশছাড়া হয়ে দেশে ফিরতে নারাজ হলে তাকে অর্থনৈতিক অপরাধী হিসেবে ঘোষণা করা যাবে। ঘোষণা করা হয়ে গেলে ব্যক্তির সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অধিকার থাকে তদন্তকারী সংস্থার।
আরও পড়ুন, শেষ ৬ মাসে ১৪ হাজার কোটি টাকার লাভ করেছে এলআইসি
পিএনবি কেলেঙ্কারি কাণ্ডে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে নীরব মোদী এবং মামা মেহুল চোকসীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি এবং সিবিআই। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় নীরব মোদীকে ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। এবার ১৩ হাজার কোটি নয়, ২৫ হাজার কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। ব্যাঙ্কের বেলজিয়ান অডিটরের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পিএনবি ও হীরে ব্যবসায়ী মোদীর মধ্যে মোট ১,৫৬১ টি লেটারস অফ আন্ডারটেকিং ইস্যু করা হয়। যার মোট মূল্য ২৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জালিয়াতি করে ২৫ হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, মোদীর বিরুদ্ধে সিবিআই-এর কাছে অভিযোগ জানানোর পরই বেলজিয়ান অডিটরের দ্বারস্থ হন পিএনবি কর্তৃপক্ষ। সেই অডিট করতেই বেরিয়ে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।