বছর শেষ হতে চলল। দশটা পাঁচটার একঘেয়ে কাজ করে করে বাঁচতে ভুলে গেছেন। শুধু ছোটাছুটি, হাঁফ ছেড়ে একটু বিশ্রাম করাই হয়ে ওঠে না, ঘুরতে যাওয়া তো হয়ই না। বছরের শেষ ক'টা দিন একটু ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন, অমনি মাথায় এসে গেল খরচাপাতির চিন্তা। আর ঘোরার জন্য যে সময়টা বেছেছেন, তখন ট্রেন কিমবা এয়ার টিকিট আকাশ ছোঁয়া। তবে একটু প্ল্যানমাফিক এগোলে কিন্তু ঠিক আপনার বাজেটের মধ্যেই ঘুরে আসা সম্ভব।
টাকার যোগান কোথা থেকে আসবে ভেবে নিন
চেষ্টা করবেন নিজের জমানো টাকা থেকেই ঘুরতে যেতে। একেবারে উপায় না থাকলে তবেই ধার নেবেন। বড়ো ঘোরার প্ল্যান থাকলে এক বছর আগে থেকে রেকারিং-এ একটু একটু করে প্রতি মাসে টাকা জমালে গায়েই লাগবে না। ফিক্সড ডিপোজিটও করতে পারেন, সেক্ষেত্রে সুদের হার আর একটু বেশি। তবে ম্যাচিওর করার পর সঙ্গে সঙ্গে ঘুরতে না পারলেও সেই টাকা অন্য খাতে খরচ করবেন না। পুরো ঘোরাটাই যাতে রেকারিং অথবা ফিক্সড ডিপোজিট থেকে পাওয়া টাকার পরিমাণের মধ্যেই হয়, সেই চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন, সাধারণ চাকরিতেও কী ভাবে সঞ্চয় সম্ভব, জানুন
ঘোরার প্ল্যানের শুরুতেই বাজেট ঠিক করে নিন
গন্তব্যে কী ভাবে যাবেন এবং কোথায় থাকবেন, এটার ওপরেই ঘুরতে কতো খরচ হবে, তার বেশিটাই নির্ভর করে। তাই ঘোরার প্ল্যানের শুরুতেই ঠিক করে নিন আপনার বাজেট। সেই বুঝে ঠিক করুন, কোন হোটেলে উঠবেন, ট্রেনে যাবেন না প্লেনে।
সস্তার ট্র্যাভেল ডিল দেখে নিন
একাধিক ট্যাভেল সংস্থা কম্বো প্যাকেজ দেয়। প্লেন অথবা ট্রেনের বুকিং আর হোটেল বুকিং একসঙ্গে দিলে অনেকটা ছাড়ও পাওয়া যায়, যেগুলো আপনি আলাদা আলাদা বুক করলে পেতেন না।
ক্রেডিট কার্ডের বদলে ডেবিট কার্ড ব্যবহার করুন
এতে খরচ সাধ্যের মধ্যে থাকবে। ট্রেন/প্লেনের টিকিট কাটা এবং হোটেল বুক করার ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সুদের হার সমেত ফেরত দিতে হবে, আখেরে খরচা কিন্তু বেড়েই যাবে।
আরও পড়ুন, সঞ্চয় বাড়াতে কোন স্কিমে টাকা ঢালবেন?
খাওয়া দাওয়ার খরচ
এখন অধিকাংশ হোটেলে কমপ্লিমেনটারি ব্রেকফাস্ট দেয়, সকালের জলখাবারের জন্য আলাদা করে খরচ করবেন না। যেখানে বেড়াতে যাচ্ছেন, সেখানকার স্থানীয় খাবার চেখে দেখাই ভাল। তবে একেবারে নতুন খাবার চেখে দেখার সময় পরিমাণে অল্প নেবেন প্রথমে। দু'জন বা তিনজন বেড়াতে গেলে এক প্লেটই যথেষ্ট। পরে ভালো লাগলে আবার নেওয়া যেতে পারে।
কেনা কাটার খরচ
নিজেদের সংগ্রহে রাখার জন্য খুব বেশি কিছু কিনবেন না। একটা-দুটো টোকেন কিন্তুন। পরিবার পরিজন সবার জন্য কিছু না কিছু আনতেই হবে, এমন মাথার দিব্যি কেউ দেয়নি। সাধারণত যে কোনও জায়গায় পর্যটকদের কাছ থেকে জিনিসের দাম বেশি চাওয়া হয়, সতর্ক থাকবেন।