সমষ্টিগত অর্থনীতি এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ জরুরি। কারণ, মুদ্রাস্ফীতি হল দেশের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে জনগণের আস্থা ও আস্থার মাপকাঠি। এই স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং বৃদ্ধির জন্য তাই ব্যবস্থা নেবে রিজার্ভ ব্যাংক। যার জেরে চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই ধীরে ধীরে মুদ্রাস্ফীতি বা মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। এমনই আশার বাণী শোনালেন রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
তিনি বলেন, 'সামগ্রিকভাবে বর্তমানে দেশে সরবরাহের পরিস্থিতি অনুকূল। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে তা বেড়েওছে। তার ভিত্তিতে আশা করা যায় যে চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে দেশে মুদ্রাস্ফীতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসবে। সামগ্রিক অর্থনৈতিক ও আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য মুদ্রাস্ফীতির নিয়ন্ত্রণ জরুরি। রিজার্ভ ব্যাংক সামগ্রিক আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।'
একইসঙ্গে অবশ্য শক্তিকান্ত দাস বলেন, 'আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরের কারণগুলোও মুদ্রাস্ফীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে সেটা বেশিদিনের জন্য পারবে না। কিন্তু, সেটাও যাতে করতে না-পারে, সেজন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যাতে অর্থনীতির ভিত্তি মজবুত হয়। আমরা সমষ্টিগত আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং তাকে বাড়ানোর লক্ষ্যে পদক্ষেপ অবশ্যই করব।'
আরও পড়ুন- মেঘভাঙা নয়, প্রবল বৃষ্টিতেই হড়পা বানে ভেসেছে অমরনাথ, দাবি আবহাওয়া দফতরের
রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর জানান, আর্থিক নীতি কমিটি চলতি বছরের এপ্রিল এবং জুনের বৈঠকে মুদ্রাস্ফীতিকে দুটি পর্যায়ে কমানোর চেষ্টা করেছে। এজন্য রেপো রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি জানান, শুধুমাত্র ভারতেই না। গোটা বিশ্বেই মূল্যবৃদ্ধি বর্তমানে তুঙ্গে উঠেছে। তার অন্যতম কারণ রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে ধারাবাহিক লড়াই।
বিশ্বায়নের যেমন সুফল আছে। তেমনই তার মন্দ দিকও আছে। যা হল, বাকি বিশ্বের প্রভাব দেশের অর্থনীতির ওপরও এসে পড়া। বর্তমানে ভারতের অর্থনীতিতে তেমনই বহির্বিশ্বের প্রভাব পড়েছে। যার জেরে জ্বালানি থেকে খাদ্যদ্রব্য-সহ অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়েছে বলেই শক্তিকান্ত দাস জানান। তিনি জানান, সাম্প্রতিক উন্নয়নের ফলে দেশের মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বর্তমানে বিশ্বকে যে মুদ্রাস্ফীতির সমস্যা ভোগ করতে হচ্ছে, তাকে রুখতে গেলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে আলোচনা জরুরি বলেও রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর জানান।
Read full story in English