আদানি গোষ্ঠীকে ঠিক কত টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে, ব্যাংকগুলোর কাছে সেই তথ্য জানতে চাইল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। সূত্রের খবর, ভারতের প্রথমসারির বিভিন্ন ব্যাংকের সঙ্গে ইতিমধ্যে রিজার্ভ ব্যাংক যোগাযোগ করেছে। তাদের কাছেই জানতে চাওয়া হয়েছে ওই শিল্পগোষ্ঠীকে দেওয়া ঋণের পরিমাণের ব্যাপারে।
কারণ, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে করফাঁকি থেকে কারচুপি-সহ বিবিধ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। তারপর থেকেই বাজারে তাদের শেয়ারের দাম ঝড়ের গতিতে কমেছে। এই পরিস্থিতিতে কোন ব্যাংক আদানি গোষ্ঠীর কতটাকা অনাদায়ী অবস্থায় পড়ে রয়েছে, তা জানতে চেয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক। জানতে চাওয়া হয়েছে, আদানি গোষ্ঠী নিয়মিত ঋণের কিস্তি জমা দিচ্ছে কি না, সেই ব্যাপারেও।
আন্তর্জাতিক সংস্থা সিএলএসএর তথ্য অনুযায়ী, গত তিন থেকে চার বছরে আদানি গোষ্ঠীর পাঁচটি সংস্থার ঋণ ব্যাপকহারে বেড়েছে। এক লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে সেই ঋণের পরিমাণ ২ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। সিএলএসএর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ৮০ হাজার কোটি টাকার মত। তার মধ্যে গত তিন বছরে ভারতের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে আদানি গোষ্ঠীকে ১৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে।
এই যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানির বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তোলার পর থেকেই। হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ, ভারতর অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী শেয়ার দরে লাগাতার কারচুপি করেছে। এই রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই শেয়ার বাজারে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম লাগাতার কমে গিয়েছে। তিনি সেরা ১০ ধনকুবেরের তালিকার বাইরেও চলে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন- বিদেশিদের জন্য নতুন ব্যক্তিগত আইন জারি আমিরশাহিতে, কী লাভ পাবেন ভিনদেশের নাগরিকরা?
গত ২৪ জানুয়ারি, যে দিন হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়, সেই দিনই আদানি গোষ্ঠী এফপিও বাজারে ছেড়েছিল। কিন্তু, তাদের শেয়ার নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে বুধবার সংসদে বাজেট পেশের দিন বাজার থেকে এফপিও তুলে নিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। তারপর এবার আদানি গোষ্ঠীর ব্যাংক ঋণ সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করল রিজার্ভ ব্যাংক।
Read full story in English