ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আবারও রেপো রেট স্থিতিশীল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বে মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক শুরু হয় ৬ ফেব্রুয়ারি। আজ অর্থাৎ ৮ ফেব্রুয়ারি, আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস আর্থিক পর্যালোচনা সভার ফলাফল ঘোষণা করেছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আবারও রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছে এবং এতে কোনো পরিবর্তন করেনি। টানা ষষ্ঠবারের মতো রেপো রেট ৬ দশমিক ৫ শতাংশে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আরবিআই-এর সিদ্ধান্তের পর ফের সুদের হার রয়ে গেল ৬.৫ শতাংশ। সাধারণ মানুষ আশা করেছিল, এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট কমিয়ে সস্তা ঋণের উপহার দেবে, কিন্তু তা হয়নি। সস্তা ঋণের আরও অপেক্ষা করতে হবে সাধারণ মানুষকে।
গভর্নর শক্তিকান্ত দাস তার ভাষণে বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে মিশ্র সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। মূদ্রাস্ফীতিও কিছুটা কমবে বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, এবারের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং কমিটি রেপো রেট ৬ দশমিক ৫ শতাংশে স্থির রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ছয় সদস্যের মধ্যে পাঁচজন এর পক্ষে রায় দিয়েছেন। RBI প্রায় এক বছর ধরে রেপো রেট ৬.৫০ শতাংশে স্থির রেখেছে। আরবিআই সর্বশেষ গত বছরের ফেব্রুয়ারি ২০২৩-এ রেপো রেট ৬.২৫ শতাংশ থেকে ০.২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৬.৫০ শতাংশ করেছিল।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকের শেষে রেপো রেট নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করলেন আরবিআই-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। আরবিআই টানা ষষ্ঠবারের মতো সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আবারও রেপো রেট স্থিতিশীল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আবারও রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছে এবং এতে কোনো পরিবর্তন করেনি। আরবিআই-এর সিদ্ধান্তের পর ফের সুদের হার রয়ে গেল ৬.৫ শতাংশ।
এই নিয়ে টানা ষষ্ঠ বার যে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক রেপো হারে কোনও পরিবর্তন করেনি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সর্বশেষ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রেপো রেট বাড়িয়ে ৬.৫ শতাংশ করেছিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, যে রেপো হারে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। একই সময়ে, আরবিআই গভর্নর বলেছেন যে মুদ্রাস্ফীতি দিকে তার নজর রয়েছে। আগামী দিনে সুদের হারে পরিবর্তন আসতে পারে।
রেপো রেট কী?
আপনি যেমন আপনার প্রয়োজনে ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেন, ঠিক তেমনি পাবলিক এবং কমার্শিয়াল ব্যাঙ্কগুলিও তাদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেয়। আপনি যেমন ঋণের জন্য ব্যাঙ্ককে সুদ দেন, তেমনি ব্যাংকগুলোকেও সুদ দিতে হয়। অর্থাৎ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া যে সুদের হারে ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয় তাকে রেপো রেট বলে। কম রেপো রেট মানে ব্যাংকগুলি সস্তা ঋণ পাবে। ব্যাংকগুলো যদি কম খরচে ঋণ পায় তাহলে তারাও তাদের গ্রাহকদের সস্তা ঋণ দেবে। অর্থাৎ রেপো রেট কমলে তার সরাসরি সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ। রেপো রেট বাড়লে সাধারণ মানুষের অসুবিধাও বাড়বে।
আরবিআই গভর্নর জানিয়েছেন কমিটির সকল সদস্য সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আরবিআই রেপো রেট স্থিতিশীল রেখে, সাধারণ মানুষকে দারুণ স্বস্তি দিয়েছে। আরবিআই রেপো রেটে কোনো পরিবর্তন করেনি। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে যে হারে ঋণ দেয় তা হল RBI রেপো রেট। যখন আরবিআইয়ের রেপো রেট বাড়ায়, তখন ব্যাঙ্কগুলির ঋণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে ফলে তার প্রভাব পড়ে গ্রাহকদের ওপর। অর্থাৎ রেপো রেট বাড়ানোর বোঝা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছায়। ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি পায় এবং আপনি যে লোন নিয়েছেন যেমন হোম লোন, গাড়ি লোন এবং ব্যক্তিগত ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি পায়। প্রকৃতপক্ষে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে, রেপো রেট বাড়াতে বাধ্য হয় আরবিআই।