বাড়ছে না EMI, রেপো রেট নিয়ে বিরাট ঘোষণা RBI-এর

বৃহস্পতিবারে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকের শেষে রেপো রেট নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করলেন আরবিআই-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। RBI-এর মনিটরিং পলিসি কমিটির (MPC) সভা ৮ আগস্ট শুরু হয়েছিল। এই বৈঠক চলে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। ৮ অগাস্ট থেকে শুরু হওয়া আরবিআই-এর মানিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকের পরে রেপো রেট নিয়ে নয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানো হল। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার সময় শক্তিকান্ত দাস এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া রেপো হারে কোনও পরিবর্তন করেনি। যার ফলে রেপো রেট থাকছে 6.50 শতাংশই।

আরবিআই গভর্নর জানিয়েছেন কমিটির সকল সদস্য সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আরবিআই রেপো রেট স্থিতিশীল রেখে, সাধারণ মানুষকে দারুণ স্বস্তি দিয়েছে। আরবিআই রেপো রেটে কোন পরিবর্তন করেনি। অর্থাৎ রেপো রেট রয়ে গেছে 6.50 শতাংশে। যেহেতু আগে থেকেই অনুমান করা হচ্ছিল যে আরবিআই রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখতে পারে। মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান দেখে, আরবিআই রেপো রেট 6.50 শতাংশে স্থির রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষ বিষয় হল টানা তৃতীয়বার রেপো রেটে কোন পরিবর্তন করা হয়নি।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া টানা তৃতীয়বার রেপো রেটে কোনও পরিবর্তন না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণকে স্বস্তি দিয়েছে। বিশেষ করে যারা কোন প্রকার ঋণ নিয়েছেন বা নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন তাদের জন্য দারুণ স্বস্তির খবর। RBI-এর মুদ্রানীতি কমিটির (MPC) সভা প্রতি দুই মাসে একবার অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, গত এক বছরে, আরবিআই রেপো রেট 2.50 শতাংশ বাড়িয়েছে। রেপো রেট বদলে ব্যাঙ্কের সুদের হার প্রভাবিত হয় এবং এটি আপনার হোম লোন, গাড়ি লোন, ব্যক্তিগত লোন ইএমআইকে প্রভাবিত করে।

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে যে হারে ঋণ দেয় তা হল RBI রেপো রেট। যখন আরবিআইয়ের রেপো রেট বাড়ায়, তখন ব্যাঙ্কগুলির ঋণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে ফলে তার প্রভাব পড়ে গ্রাহকদের ওপর। অর্থাৎ রেপো রেট বাড়ানোর বোঝা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছায়। ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি পায় এবং আপনি যে লোন নিয়েছেন যেমন হোম লোন, গাড়ি লোন এবং ব্যক্তিগত ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি পায়। প্রকৃতপক্ষে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে, রেপো রেট বাড়াতে বাধ্য হয় RBI

আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি দেশে খাদ্যপণ্যের দাম অনেক বেড়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয়েছিল যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে, আরবিআই পরপর তৃতীয়বারের মতো রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখতে পারে। আরবিআই গভর্নর বলেছেন যে সবজির দাম বৃদ্ধির ফলে মুদ্রাস্ফীতি প্রভাবিত হয়েছে। জুলাই-আগস্টে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। আরবিআই গর্ভনর এদিন বলেন, বৈঠকে সম্পূর্ণ জোর দেওয়া হয়েছে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ওপরে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।