সুনির্দিষ্ট ব্যবহারের জন্য এবার ই-রুপি বা ডিজিটাল টাকার প্রচলনের পথে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ডিজিটাল লেনদেনে উৎসাহ বাড়তে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে দ্রুত ই-রুপির প্রচলন করতে আগ্রহী কেন্দ্র। ই-রুপি হল নগদ টাকারই ডিজিটাল ফর্ম। যার মাধ্যমে নগদ ছাড়াই লেনদেন সম্ভব। অর্থাৎ, কনট্যাক্টলেস ট্রানজ্যাকশন।
চলতি আর্থিক বছরের সাধারণ বাজেট পেশ করতে গিয়েই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছিলেন যে, ২০২৩ সালে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি তথা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডিজিটাল কারেন্সি চালু হবে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মুম্বইতে কনসেপ্ট নোট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে যে ই-রুপিকে 'টোকেন ভিত্তিক' বা 'অ্যাকাউন্ট-ভিত্তিক' হিসাবে গঠন করা যেতে পারে। এর অর্থ, টোকেন-ভিত্তিক সিবিডিসি হল ব্যাঙ্ক নোটের মতো একটি বাহক যন্ত্র, যার অর্থ যে কেউ নির্দিষ্ট সময়ে টোকেনগুলি ধারণ করবে- তখন তাদের মালিক বলে মনে করা হবে। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত বিশ্বের ১০৫টি দেশ সিবিডিসি পদ্ধতি চালু আছে।
তবে ই-রুপি ব্যবস্থা আনতে তাড়াহুড়ো করতে রাজি নয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর ফলে প্রচলিত অর্থ ব্যবস্থায় যাতে কোনও বিভ্রান্তি না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে তৎপর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। অর্থমন্ত্রক মনে করছে, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে দেশের একাংশ সরগর। ফলে ডিজিটাল রুপি-র প্রচল হলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
খুচরো ও পাইকারি- দু’ধরনের ই-রুপি প্রচলনের পক্ষপাতি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। ই-রুপি চালু হলে অনাবাসী ভারতীয়রাও দেশে বিনিয়োগ বা সম্পত্তি কিনতে উৎসাহী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেশে প্রাইভেট ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলির বিরোধিতা করছে। এগুলোকে ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রে আশঙ্কার বলে বলে মনে করা হচ্ছে। সবদিক খতিয়ে দেখেই তাই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ধাপে ধাপে ই-রুপি চালুর পক্ষপাতী।