প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করতে, ওষুধের দাম ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ)। এতদিন জীবনদায়ী ওষুধের দাম কমানো এনপিপিএ এবার জনস্বার্থেই দাম বাড়াতে চলেছে ওষুধের, এমনটাই বলা হয়েছে। ওষুধের ঘাটতি হওয়ায় রোগীর পরিবার বিকল্প দামী ওষুধ বেছে নিচ্ছেন, সেই কারণেই এই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনপিপিএ।
এই ওষুধগুলি মূলত চিকিৎসার প্রাথমিক ধাপে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ডিসেম্বরের ৯ তারিখের একটি বৈঠকে এনপিপিএ এই সিদ্ধান্ত নেয় যে যক্ষার জন্য ব্যবহৃত বিসিজি ইনজেকশন, ভিটামিন সি, মেট্রোনিডাজোল এবং বেঞ্জাইল-পেনিসিলিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক, ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক ওষুধ ক্লোরোকুইনাইন ও লেপ্রোসিতে ব্যবহৃত ড্যাপসোন ওষুধের দাম বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: বৃহত্তর মন্দার পথে ভারত, আইসিইউর পথে অর্থনীতি, বললেন প্রাক্তন উপদেষ্টা
জুলাই মাসেই দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায় যে ওষুধ তৈরির জন্য ব্যবহৃত মূল উপাদানগুলির দাম বাড়ার কারণে সম্ভাব্য ঘাটতি পূরণের জন্য কিছু ওষুধের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে এনপিপিএ। ডিসেম্বরে বৈঠক শেষে একটি বিবৃতিতে তারা বলে, "ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণ নির্দেশ, ২০১৩-র প্যারা ১৯ অনুযায়ী ২১টি ওষুধকে চিহ্নিত করে মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। এই ওষুধগুলির বেশিরভাগই চিকিৎসার প্রাথমিক ধাপে ব্যবহার করা হয় এবং দেশের জনস্বাস্থ্য কর্মসূচির জন্য এগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
আরও পড়ুন: ছ’বছরে রেকর্ড খাদ্যস্ফীতি, ক্রমশ নিম্নমুখী শিল্পোৎপাদনের হারও
তবে সাশ্রয়ী মূল্যে ওষুধের প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে মিনিট্সে বলা হয়, "জীবনরক্ষাকারী প্রয়োজনীয় ওষুধগুলি সর্বদা জনসাধারণের কাছে উপলব্ধ থাকতে হবে। ফলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়া উচিত নয় যেখানে এই ওষুধগুলি মানুষের কাছে উপলব্ধ হবে না। এখন মানুষকে বাধ্য করা হয় ব্যয়বহুল বিকল্পের দিকে যেতে।" প্রসঙ্গত, ওষুধের উপাদানের জন্য এখনও ৬০ শতাংশ নির্ভর করতে হয় চিনের উপর। সেই কারণে অনেক ক্ষেত্রেই দাম পরিবর্তন করতেই হয়, জানালেন একজন এক্সিকিউটিভ অফিসার। উদাহরণস্বরূপ, ভিটামিন সি-র উৎপাদন মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৫০ শতাংশ। যার ফলে গত বছরেই ভারতের বাজারে ২৫-৩০ শতাংশ ঘাটতি হয়েছে ভিটামিন সি ওষুধের।
Read the full story in English