করোনার ভাইরাসের জেরে এমনিতেই বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছিল দেশের অর্থনীতি। এর মধ্যে ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নতুন করে সেই সময়সীমা আর বৃদ্ধি করা সম্ভব নয় সুপ্রিম কোর্টে নতুন হলফনামা পেশ করে এমনটাই জানিয়ে দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
শনিবার জমা দেওয়া সেই হলফনামায় দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফে জানান হয় যে ছ'মাস লোন মোরাটোরিয়ামের যে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল ঋণ গ্রহীতাদের তা আর বাড়ানো সম্ভব নয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উপর ভার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র ঋণ ব্যবস্থাও বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ছে। যার জেরে আগামী দিনে দেশের অন্তর্গত ঋণ প্রকল্প তৈরিতে বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে। এমনকী নির্ধারিত ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক প্রবৃত্তিও তৈরি হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানান হয়েছে।
পূর্বের একটি হলফনামায় কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক আদালতকে বলেছিল যে ছয় মাসের স্থগিতকালীন সময়ে এমএসএমই এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত ঋণের জন্য ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের সুদের উপর সুদ সরকার মকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকী লকডাউন আবহে দু'দফায় মোট ৬ মাসের জন্য ঋণের কিস্তি শোধের ওপরে স্থগিতাদেশ দেয় কেন্দ্র।
আরও পড়ুন, রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, জিডিপি পতনের ইঙ্গিত গভর্নরের
রিয়েল এস্টেট-সহ অন্যান্য একাধিক শিল্পের তরফ থেকেও সুদ মকুব ও ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন উঠলে সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্র জানায়, ঘোষিত ছাড়ের অতিরিক্ত কোনও সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়। আরবিআইয়ের নতুন হলফনামায় বলা হয়েছে যে ছয় মাসের মেয়াদ শেষের পরও এই স্থিতাবস্থা চললে নগদের যেমন সমস্যা তৈরি হবে তেমন ঋণদাতাদের উপরও আরও চাপ সৃষ্টি হবে।
ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষেত্রবিশেষে ঋণ পরিশোধের বিষয়টি বিবেচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে আরবিআই-এ এমনটাই জানান হয়েছে। যদিও আরবিআইয়ের তরফে 'অবিলম্বে' এই স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার আর্জি জানান হয় দেশের শীর্ষ আদালতকে। তা না হলে আগামীদিনে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় বিরাট প্রভাব পড়বে একথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন