খুচরো মুদ্রাস্ফীতি আবার রিজার্ভ ব্যাংকের উচ্চসীমা লঙ্ঘন করেছে। জানুয়ারিতে তা বেড়ে হয়েছে ৬.৫২%। যা গত তিন মাসে সর্বোচ্চ। প্রধানত খাদ্যশস্য এবং প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবারের দাম বেড়েছে। আর, তার ফলেই বেড়েছে খুচরো বাজারে জিনিসপত্রের দাম।
এর আগে অক্টোবরে খুচরো বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছিল। সেবার দাম বেড়ে হয়েছিল ৬.৭৭%। গতবছর জানুয়ারি থেকেই খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতি রিজার্ভ ব্যাংকের সর্বোচ্চ সীমা ৬% অতিক্রম করেছিল। গোটা বছরটাই ৬%-এর ওপর খুচরো মুদ্রাস্ফীতি কাটিয়েছে। কেবলমাত্র নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে এসে মুদ্রাস্ফীতি কমেছিল।
উপভোক্তা মূল্য সূচকের ওপর নির্ভর করে খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতি নির্ধারিত হয়। ডিসেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৫.৭২%। জানুয়ারিতে সবজির দাম কমলেও জ্বালানি এবং বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় (এনএসও)-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ডিসেম্বরে খাবারের ঝুড়ির মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৪.১৯ শতাংশ। জানুয়ারিতে তা বেড়ে হয় ৫.৯৪%। একবছর আগে তার মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৪৩%।
পরিসংখ্যান বলছে, শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে মুদ্রাস্ফীতির হার বেশি। গ্রামাঞ্চলে মুদ্রাস্ফীতির হার ৬.৮৫%। আর, শহরাঞ্চলে সেই হার ৬%। গত সপ্তাহে রিজার্ভ ব্যাংক নির্দেশ দিয়েছিল, মুদ্রাস্ফীতি ৬%-এর নীচে রাখতে হবে। মুদ্রাস্ফীতি রুখতেই রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৬.৫% শতাংশ করেছিল। রিজার্ভ ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতি ৬.৫%-এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করছিল।
আরও পড়ুন- অ্যাকশনের রিঅ্যাকশন! বঙ্গ রাজনীতিতে জোর শোরগোল
খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতি ক্রেতাদের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। কারণ, এর ফলে, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। যার জেরে ক্রেতাদের দৈনন্দিন জীবন ভুগতে হয়। সেই কথা মাথায় রেখেই অবিলম্বে এই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র। সেই চেষ্টার অঙ্গ হিসেবে ফের রেপো রেট বাড়ানোর পথে কেন্দ্র হাঁটতে পারে।
সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, এক্ষেত্রে কি জরুরি পরিস্থিতিতে বৈঠক করে রেপো রেট বাড়ানো হবে। নাকি, যেভাবে ত্রৈমাসিক বৈঠক চলে, তার অপেক্ষা করা হবে, তা স্রেফ পরিস্থিতিই ঠিক করবে।
Read full story in English