Advertisment

খুচরো বাজারে জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া, চেষ্টা করেও কমাতে পারছে না সরকার

সরকার যে সীমা বেঁধে দিয়েছে, বারবার তা ছাড়িয়ে অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে দ্রব্যমূল্য। যার জেরে নাকাল হতে হচ্ছে মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
People buying vegetables

ভারতীয় খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতি বা কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) সেপ্টেম্বর মাসে ৭.০০ শতাংশ থেকে বেড়ে পাঁচ মাসে আগস্টে সর্বোচ্চ ৭.৪১ শতাংশে পৌঁছেছে। আর, ভারতের ফ্যাক্টরি আউটপুট বা ইন্ডেক্স অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন (আইআইপি) অর্থাৎ উৎপাদন আগস্টে (-) ০.৮ শতাংশ কমে গিয়েছে।

Advertisment

বুধবার পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রক (এমওএসপিআই) তাদের প্রকাশিত তথ্যে এমনটাই জানিয়েছে। এই নিয়ে পরপর ন'বার ভারতীয় খুচরো বাজারের মুদ্রাস্ফীতি (সিপিআই) ৬ শতাংশের ওপরে উঠে গেল। কেন্দ্রীয় সরকার রিজার্ভ ব্যাংককে ২০২৬ সালের মার্চে শেষ হওয়া পাঁচ বছরের জন্য খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ৪ শতাংশের ওপর এবং নীচের মার্জিনের মধ্যে রাখতে বলেছে। কিন্তু, বারবার দেখা যাচ্ছে, সেটা সম্ভব হচ্ছে না।

সরকার যাই বলুক, গত মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরেই অর্থনীতিবিদরা সাম্প্রতিক সমীক্ষায় ভারতীয় খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতির সাড়ে ৭ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল। ভারতীয় খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতির তথ্য প্রতিবারই রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া তাদের দ্বিমাসিক মুদ্রানীতি তৈরির সময় প্রকাশ করে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর মুদ্রা নীতি কমিটি (এমপিসি) এই সব তথ্যের ভিত্তিতেই তাদের রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫.৯০ শতাংশ করেছে।

আরও পড়ুন- আন্তর্জাতিক মূল্যের চেয়ে কমে গ্যাস দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো, ঘাটতি মেটাতে অনুদান কেন্দ্রের

চলতি আর্থিক বছরে এপর্যন্ত মুদ্রা নীতি কমিটি ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মূল সুদের হার ১৯০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে। কিন্তু, এই পদক্ষেপের পরও খুচরো মূদ্রাস্ফীতি বা মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি সরকার। তা অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে উচ্চ সহনশীলতার স্তরের ওপরেই রয়ে গিয়েছে। উপভোক্তা খাদ্য মূল্য সূচক (সিএফপিআই)-এর সেপ্টেম্বর মাসে ৮.৬০ শতাংশ বৃদ্ধিতে এসে ঠেকেছে।

একমাস আগে, অর্থাৎ আগস্টেই তা ৭.৬২ শতাংশে ছিল। উপভোক্তা খাদ্য মূল্য সূচকের বৃদ্ধিও প্রতিমাসে ঘটে চলেছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সবজির দাম বেড়েছে ১৮.০৫ শতাংশ। এছাড়াও, মশলার দাম ১৬.৮৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে খাদ্যশস্যের মূল্য ১১.৫৩ শতাংশ এবং দুধ এবং ওইজাতীয় পণ্যের মূল্য ৭.১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ডিমের দাম কমেছে (-) ১.৭৯ শতাংশ। আর, ফলের দাম বেড়েছে ৫.৬৮ শতাংশ। খাদ্য ও পানীয় ছাড়াও জ্বালানির দাম বেড়েছে ১০.৩৯ শতাংশ। পোশাক ও জুতোর দাম বেড়েছে ১০.১৭ শতাংশ। আর, গৃহনির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে ৪.৫৭ শতাংশ। আর, এভাবে সরকার দামবৃদ্ধি রুখতে ব্যর্থ হওয়ায় অসহায় পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের।

Read full story in English

RBI Price Hike rate
Advertisment