কর্ণাটকের সরকারি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে লেখা হয়েছে সাভারকর নাকি বুলবুলি পাখির পিঠে চেপে আন্দামানের সেলুলার জেল ছেড়ে বেরোতেন। এই হাস্যকর হিন্দুত্ববাদী প্রচার এখন গোটা দেশে রীতিমতো চর্চার বিষয়। তার মধ্যেই কিন্তু, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ঘটে গিয়েছে। আর সেটা হল, এক মার্কিন ডলারের দাম পৌঁছে গিয়েছে ৮০ (৭৯.৯৪) টাকায়। কারণ, ডলারের তুলনায় আরও পড়েছে টাকার দাম। নতুন করে দাম পড়েছে ১০ পয়সা। আর, তাতেই মার্কিন ডলারের তুলনায় তলানিতে ঠেকেছে টাকার মূল্য।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিনিময়ের হিসেব অনুযায়ী, শুক্রবার টাকার দাম নেমে এসেছিল ৭৯.৮৪ টাকায়। সপ্তাহের কর্মদিবসের শুরুতে সোমবার সেটাই আরও ১০ পয়সা পতনের পর হয়েছে ৭৯.৯৪ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাজারে। আর, তার ফলেই ডলারের তুলনায় টাকার দাম পড়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ২০ জুলাই অবশ্য টাকার দাম ৮০ টাকার চেয়েও বেড়ে গিয়েছিল। দাম বেড়ে হয়েছিল ৮০.০৫ টাকা। কিন্তু, সেটা সংশোধন হয়ে ডলারের তুলনায় টাকার দাম বাড়ে। শেষ পর্যন্ত তা নেমে আসে ৮০ টাকার নীচে। তবে, খুব একটা নীচেও নয়। এক মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার দাম রয়ে যায় ৮০ টাকার কাছাকাছিই।
আরও পড়ুন- ‘ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছি’, কংগ্রেস ছাড়ার পরই বিস্ফোরক গুলাম নবি আজাদ
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডলারের তুলনায় এভাবে টাকার দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় পণ্যের মূল্য কমে গিয়েছে। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভারতীয় সংস্থাগুলো। আর, আমদানির ক্ষেত্রে বেগ পেতে হচ্ছে ভারতকে। পণ্য আমদানির জন্য আগের তুলনায় বেশি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে নয়াদিল্লিকে। কারণ, ভারতের কাছে সেই পণ্যের দাম বেড়ে গিয়েছে। যার প্রভাব ধারাবাহিক ভাবে পড়ে চলেছে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে। দেশের অভ্যন্তরে পণ্যের দাম বেড়ে গিয়েছে। মোদী সরকার এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা।
Read full story in English