ফের পতন ঘটল টাকার দামের। বুধবার বুধবার মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার দাম ১৮ পয়সা কমল। পৌঁছে গেল এতদিন পর্যন্ত টাকার সর্বনিম্ন দামের কাছাকাছি। এই পতনের ফলে এক মার্কিন ডলারের দাম হল ৭৯.০৩ টাকা। বিদেশি পুঁজির অবিরাম ভারতীয় বাজার ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া। বিদেশের বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ার জন্যই হ্রাস পেল টাকার মূল্য। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারে যখন বিনিময় শুরু হয়, তখন এক মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার দাম ছিল ৭৮.৮৬ টাকা। তারপরই শুরু হয় পতন। পতনের ফলে এক মার্কিন ডলারের দাম হয় ৭৯.০৩ টাকা। যা মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার সর্বনিম্ন দামের কাছাকাছি। এক মার্কিন ডলারের তুলনায় বর্তমানে টাকার সর্বনিম্ন দাম হল ৭৯.০৫ টাকা।
তবে, বুধবার টাকার দামের পতন আকস্মিক ঘটেনি। গত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার মার্কিন ডলারের তুলনায় দাম কমছে টাকার। মঙ্গলবারই, মার্কিন ডলারের তুলনায় ৪৮ পয়সা কমে গিয়েছিল টাকার দাম। কমে হয়েছিল ৭৮.৮৫ টাকা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, টাকার দামের এই পতনের ফলে চলতি মাসেই দেশীয় বাজারে ১.৯৭ শতাংশ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে এই বছরের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত দেশীয় বাজারে ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৬.৩৯ শতাংশ। অন্যদিকে অগ্রগতি ঘটছে ডলারের। গ্রিনব্যাক সূচকের অধীনে ছয়টি মুদ্রা নথিবদ্ধ। সেখানে ডলারের দাম ০.১৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১০৪.৬৪।
আরও পড়ুন- জুবেরের গ্রেফতারিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া, কেন্দ্রকে সাংবাদিক হেনস্তার বিরুদ্ধে পাঠ পড়াল রাষ্ট্রসংঘ
এই ব্যাপারে HDFC সিকিউরিটিজের রিসার্চার ও বিশ্লেষক দিলীপ পারমার জানিয়েছেন, 'ঝুঁকিবিরোধী মনোভাব এবং আঞ্চলিক মুদ্রার দুর্বলতার কারণেই টাকার দাম কমেছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। একইসঙ্গে কমেছে জোগান। এতেই ডলারের তুলনায় দাম কমে গিয়েছে টাকার।' মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সেদেশে মুদ্রাস্ফীতি রুখতে ডলারের বাজারে ছাড়ার পরিমাণ কমিয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে ভারতেও। আর, তাতেই ডলারের তুলনায় টাকার পতন ত্বরান্বিত হয়েছে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা।
Read full story in English