স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (SBI) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি রাজ্যে কঠোর কারফিউ এবং লকডাউনের ফলে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারত। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট লোকসানের প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ এবং রাজস্থানে লকডাউনের জন্য। শতাংশের বিচারে তা প্রায় ৮০ শতাংশ।
অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় মহারাষ্ট্রে কঠোর লকডাউনের জেরে লোকসান হচ্ছে প্রায় ৫৫ শতাংশ। এসবিআই প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, " মহারাষ্ট্র ভারতের অর্থনৈতিকভাবে বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শিল্পোন্নত রাজ্য হওয়ায় এই লকডাউন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। বর্তমানে আমরা মহারাষ্ট্রের প্রায় ৮২,০০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি অনুমান করছি যা বিধিনিষেধ আরও জোরদার করা হলে আরও বৃদ্ধি পাবে।"
এসবিআই ২০২১-২২ অর্থবর্ষের জন্য মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুমানও কমিয়েছে। করোনার প্রভাব পড়েছে শিল্প ও রপ্তানি খাতে। উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে ছোট-বড় অনেক কারখানার। মহামারির প্রভাব যদি দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে দেশের ছোট-বড় শিল্পমালিকরা আরও বড় বিপাকে পড়তে পারেন।
এসবিআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে দেশের শিল্প ও সেবা খাতে যে আঘাত এসেছে, তা পরবর্তী সময়ে কর্মসংস্থানের ওপর আরও প্রভাব ফেলবে। চলমান ‘লকডাউনে’ তৈরি পোশাক ও অন্য কিছু শিল্পকারখানা চালু রাখার সুযোগ থাকলেও নির্মাণ, পরিবহণ, পোলট্রিসহ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত অসংখ্য মানুষের জীবিকা পড়েছে সংকটে। পশ্চিমাঞ্চল রেলপথের দেওয়া তথ্যে (১ এপ্রিলের জন্য) বলা হয়েছে যে মহারাষ্ট্র থেকে প্রায় ৪.৩২ লক্ষ মানুষ উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, আসাম ও ওড়িশার রাজ্যে ফিরে এসেছেন। ৪.৩২ লক্ষ লোকের মধ্যে প্রায় ৩.২৩ লক্ষ ইউপি এবং বিহারে পাড়ি জমিয়েছে।
এটি যোগ করেছে যে এসবিআই ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপ সূচকে এপ্রিল মাসে ক্রিয়াকলাপ কমেছে বিপুলভাবে। এটি পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। আংশিক এবং নিয়ন্ত্রিত লকডাউন যদি মে মাসের শেষ অবধি চলে, তাহলে সামগ্রিক ক্ষতির পরিমাণ দেশের গড় জাতীয় উৎপাদনের ০.৩৪ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট বা ৭.৮ লক্ষ কোটি টাকাতে পৌঁছে যেতে পারে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন