দেশের সবচেয়ে বড়ো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এসবিআই নুইয়ে রয়েছে অতিরিক্ত ১১ হাজার ৯৩২ কোটি টাকার অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ)-এর বোঝায়। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই হিসেব দিয়েছে। এই অর্থবর্ষে এসবিআই-এর ৬ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকার লোকসান হতে পারে বলে জানিয়েছে আরবিআই।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঝুঁকি পরিমাপক রিপোর্ট বলছে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ১১ হাজার ৯৩২ কোটি টাকার অতিরিক্ত অনুৎপাদক সম্পদের বোঝায় জর্জরিত হয়েছে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক। মোট অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা। কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী এনপিএ-র পরিমাণ ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। নেট এনপিএ-র হিসেবের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এবং এসবিআই-এর দেওয়া হিসেবের মধ্যে ফারাক রয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্কের নেট অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ আরবিআই-এর হিসেব অনুযায়ী ৭৭ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা। এসবিআই-এর হিসেব বলছে সেই সম্পদের পরিমাণ ৬৫ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে গত অর্থবর্ষে স্টেট ব্যাঙ্ক ৮৬২ কোটি টাকার লাভ হয়েছে বলে দাবি করেছে। অথচ আরবিআই-এর হিসেব বলছে লাভ নয়, বরং ৯৬৮ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে ব্যাঙ্কের।
আরও পড়ুন, শেষ ৬ মাসে ১৪ হাজার কোটি টাকার লাভ করেছে এলআইসি
দেশের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক অবশ্য দাবি করেছে চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এনপিএ-র পরিমাণ কমিয়েছে ব্যাঙ্ক। অন্যদিকে মঙ্গলবার বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে ১ শতাংশ পড়েছে এসবিআই-এর শেয়ার।
সাধারণত, ব্যাঙ্ক নিজেদের লাভ দেখাতে বাজে ঋণের ভারে নুইয়ে থাকলেও অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ লুকিয়ে রাখতে চায়। আরবিআই এবং সেবি ব্যাঙ্কগুলির এনপিএ-র পরিমাণ ঘোষণা করা নিয়ে নিয়মাবলী কড়া করলেও ব্যাঙ্ক অধিকাংশ সময়েই এনপিএ-র পরিমাণ কমিয়ে বলে। প্রসঙ্গত, আরবিআই এর ঝুঁকি মাপক রিপোর্ট পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাঙ্ককে এনপিএ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ঘোষণা করতে হবে, গত নভেম্বরে এমন নির্দেশ দিয়েছিল বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি।