পুঁজি বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি সোমবার সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বাস দিয়েছে যে ২০১৯ সালে তার পরিবর্তিত আইনের জন্য বিদেশে তহবিলের সুবিধাভোগীদের সনাক্ত করার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না। যদি কেউ আইন লঙ্ঘন করেছে বলে প্রমাণিত হয়, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ উঠেছে যে শিল্প সংস্থা আদানি গ্রুপ নিয়ম ভেঙে তাদের শেয়ারের দাম নিয়ন্ত্রণ করেছে। এই অভিযোগের জবাবে শীর্ষ আদালতকে সেবি জানিয়েছে যে তারা নিয়ম কঠোর করেছে। আর্থিক ক্ষেত্রে উপকৃত হওয়া, আর্থিক লেনদেন-সহ যাবতীয় আইন কঠোর করা হয়েছে। তাই আদানি গ্রুপের শেয়ারের দাম হেরফের করার সুযোগ কম। তবুও অভিযোগ যখন উঠেছে, তখন তারা বিষয়টি বা অভিযোগের মূল দিকগুলো খতিয়ে দেখবে।
সুপ্রিম কোর্ট-নিযুক্ত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি মে মাসে একটি অন্তর্বর্তী রিপোর্টে বলেছিল যে তারা শিল্পপতি গৌতম আদানির কোম্পানিগুলোর কোনও দুর্নীতি খুঁজে পায়নি। কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণে আদানিদের কোনওপ্রকার ব্যর্থতাও দেখতে পায়নি। তারপরই আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে নিজস্ব তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্টের কোনও উল্লেখ না-করেই, সেবি সুপ্রিম কোর্টে তার সর্বশেষ হলফনামায় বলেছে যে এটি বিদেশে তহবিলের বা অর্থনৈতিক স্বার্থের ভোক্তাদের চিহ্নিত করার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ কমিটির পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত নয়।
আরও পড়ুন- চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কেন অনুসন্ধান চালাতে চায় ইসরো?
মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের এক রিপোর্টের পর অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতি, স্টক মার্কেট ম্যানিপুলেশন এবং আদানি গ্রুপের বিদেশের সংস্থাগুলোর ব্যাপারে নানা অভিযোগ ওঠে। যে দ্বন্দ্ব রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন ফেলে দেয়। শুধু তাই নয়, আদানিদের শেয়ারের দামেও প্রভাব ফেলে। যার জেরে আদানিরা বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তির স্থান থেকে চ্যুত হয়। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট আদানিদের লেনদেনে কোনও কিছু গোপন করা হয়েছে কি না, তাদের শেয়ারের দামে হেরফের হয়েছে কি না, তা তদন্ত করার জন্য ২ মার্চ বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল।