করোনা ভাইরাসের জেরে ক্ষতির পরিমাণ কী হতে পারে সেই ভয়াবহতা ২০২০তে দেখেছে ভারত। আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি ঠেকেছিল তলানিতে। একুশে ফের দাপট বাড়ছে করোনার। লকডাউন হয়নি, তবে যে হারে মৃত্যু ও আক্রান্ত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে সেখানে আগামী দিনে জটিল হতে চলেছে পরিস্থিতি এমন সতর্কবার্তাই দিয়েছেন নীতি আয়োগের (Niti Aayog) ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার।
রবিবার তিনি বলেন কোভিড ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে গ্রাহকদের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের “বৃহত্তর অনিশ্চয়তার” জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা দরকার। এমনকী সরকারেরও উচিত রাজস্ব নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে বর্তমান পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়ছে এমনটাই জানালেন নীতি আয়োগ কর্তা।
আরও পড়ুন, ভোট উৎসবে শিকেয় কোভিড বিধি, অনিয়মেই চলছে নির্বাচন
তবে কেবল নিরাশা নয়। কিছুটা আশাবাদী সুরে রাজীব কুমার এও বলেন, চলতি অর্থবছরে ২০২২ সালের ৩১ শে মার্চ-এ শেষ হওয়া দেশের অর্থনীতি ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। দেশে আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে কোভিড নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশের একাধিক রাজ্য। প্রাথমিকভাবে ভারত করোনা জয়ে এগিয়ে থাকলেও ব্রিটেন সহ বেশ কিছু দেশের ভাইরাসের জন্য ফের কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে ভারতকে।
আরও পড়ুন, পরিস্থিতি ভয়াবহ, সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের, জারি নির্দেশিকা
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে রাজীব কুমার বলেন, "পরিষেবা খাতের মতো কিছু খাতে সরাসরি প্রভাব পড়তে পার। অর্থনৈতিক পরিবেশের অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে তুলবেএই কোভিড যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। সুতরাং, গ্রাহক এবং বিনিয়োগকারী উভয়কেই এই বৃহত্তর অনিশ্চয়তার জন্য প্রস্তুত করা দরকার।" তবে ফের কোনও আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা হতে পারে কি না সে বিষয়ে নীতি আয়োগ কর্তা জানান প্রত্যক্ষ এবং অপ্রত্যক্ষ প্রভাব বিশ্লেষণ করার পরে অর্থমন্ত্রক এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারবে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন