Share Market: অমিক্রন আতঙ্কে লকডাউন ফিরতে চলেছে বিশ্বের একাধিক দেশে। যার প্রভাব স্বাভাবিকভাবেই পড়েছে বিশ্ব বাজারে। আর সেই আতঙ্ক সংক্রমণের মতোই আছড়ে পড়েছে ভারতে। সোমবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে বিএসই এবং এনএসই দুটো সূচক পড়েছে। বেলা আড়াইটে পর্যন্ত হিসেবে বিএসই সূচক ১৩৭৩ পয়েন্ট। আর নিফটি পড়েছে ৪৩১.০৫ পয়েন্ট। বেলা ৩টে পর্যন্ত বিএসই সূচক ছিল ৫৫,৬৩৮.৫০ আর নিফটি সূচক ছিল ১৬,৫৫৪.১৫।
সকালের তুলনায় প্রায় ৩% সূচক পতন দেখেছে ভারতীয় বাজার। জানা গিয়েছে, এদিন ব্যাঙ্কিং সেক্টর, টাটা স্টিল এবং মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রার মতো সংস্থাগুলোর সূচক নিম্নমুখী। একমাত্র ব্যবসা ভাল করেছে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার এবং ডক্টর রে রেড্ডি ল্যাবরেটরির মতো সংস্থাগুলো।
এদিকে, বাজার পতনের মধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে মুদ্রাস্ফীতিও। দেশে বাড়লো পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি। নভেম্বরের মুদ্রাস্ফীতি ১৪.২৩%, কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই খবর। অকটোবর থেকেই উর্দ্ধমুখী পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি (১২.৫৪%)। সেপ্টেম্বরের মুদ্রাস্ফীতি সংশোধিত হার ছিল ১১.৮০%। যদিও আগে সে মাসে প্রকাশিত পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১০.৬৬%। গত বছর ৫-এর নিচে ছিল মুদ্রাস্ফীতি। গত নভেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি হার ছিল ২.২৯%। মন্ত্রকের বিবৃতিতে উল্লেখ, চলতি বছর খনিজ তেল, অপরিশোধিত জ্বালানি এবং প্রাকৃতিক গ্যাস এবং খাদ্যপণ্যের দাম খোলা বাজারে দাম চড়া থাকায় ১২%-এর উপরে দাঁড়িয়েছে মুদ্রাস্ফীতির হার।’
জানা গিয়েছে, নভেম্বরে খাদ্যপণ্যের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৪.৮৮%। গত বছর এই হার ছিল ঋণাত্মক ( -১.৬৯%)। একইভাবে শাকসবজির মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৩.৯১%। চলতি অর্থবর্ষের অক্টোবরে বাড়ল দেশের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি। গ্রাহক মুদ্রাস্ফীতি নামে পরিচিত এই সূচক বেড়ে ৪.৪৮% হয়েছে। সেপ্টেম্বরে এই সূচক ছিল ৪.৩৫%। অর্থাৎ পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। তবে ২০২০-র তুলনায় চলতি বছর সেপ্টেম্বরে বেড়েছে শিল্পোৎপাদন। ২০২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইআইপি সূচক বেড়ে ৩.১%। শুক্রবার এই পরিসংখ্যান সামনে এনেছে পরিসংখ্যান এবং পরিকল্পনা মন্ত্রক।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন