ভারতের গাড়ি বাজারে মন্দা এনেছে দেশের নতুন প্রজন্মের নাগরিকদের মানসিকতা, কারণ তাঁরা যথেষ্ট পরিমাণ গাড়ি না কিনে অ্যাপ-ভিত্তিক ক্যাব ব্যবহার করছেন। এমনটাই মঙ্গলবার জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
"গাড়ি শিল্পে প্রভাব পড়েছে বিএস৬ (Bharat Stage 6) এবং নতুন প্রজন্মের (মিলেনিয়াল) মানসিকতার, কারণ তাঁরা এখন ওলা বা উবের চড়ছেন, নিজের গাড়ি কেনার দায়বদ্ধতায় না গিয়ে," সীতারমণকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।
সব বিভাগেই অগাস্ট মাসে সর্বাধিক কমেছে গাড়ি বিক্রির হার, এবং বিশেষ করে প্যাসেঞ্জার গাড়ি বিক্রির হার কমেছে ৪১.০৭ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স।
'সরকারের সাহসী উদ্যোগ এবং নির্ণায়ক পদক্ষেপের ১০০ দিন' নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী গাড়ি বিক্রিতে এই তীব্র হ্রাসের কারণ হিসেবে গাড়ির ধোঁয়া নিঃসরণ (emission) সংক্রান্ত নতুন বিএস৬ নিয়মাবলী এবং "মিলেনিয়াল মাইন্ডসেট" তুলে ধরেন।
প্যাসেঞ্জার ভেহিকল, টু-হুইলার, এবং কমার্শিয়াল ভেহিকল সমেত বিক্রি কমেছে সবরকম গাড়ির। এবছরের অগাস্ট মাসে মোট বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৮,২১,৪৯০ ইউনিট, যেখানে গত বছরের অগাস্টে বিক্রি হয়েছিল ২৩,৮২,৪৮৬ ইউনিট। অর্থাৎ বিক্রি হ্রাস পেয়েছে ২৩.৫৫ শতাংশ।
গত বছর সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় যে ১ এপ্রিল, ২০২০ থেকে সারা দেশে বিএস৬ অথবা ভারত স্টেজ ৬ গাড়ির বিক্রি বন্ধ করতে হবে। উল্লেখ্য, সরকার দ্বারা গঠিত ভারত স্টেজ এমিশন স্ট্যান্ডার্ড বা নিঃসরণের মাত্রা যানবাহন চলাচলের ফলে ঘটিত বায়ুদূষণকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে।
টানা দশ মাস ধরে বিক্রি কমতে থাকার ফলে উৎপাদন কমাতে বাধ্য হয়েছে দেশের প্রায় সমস্ত প্যাসেঞ্জার গাড়ি এবং টু-হুইলার প্রস্তুতকারক, যাতে বিক্রি না হওয়া স্টক বিদায় করা যায়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার চলতি মাসে গোয়ায় অনুষ্ঠেয় জিএসটি কাউন্সিলের সভায় গাড়ির ওপর ট্যাক্স কমানোর প্রস্তাব উত্থাপন করবে, সেই আশায় রয়েছে দেশের গাড়ি উৎপাদন শিল্প।