প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা (পিএমইউওয়াই) প্রকল্প পথ চলা শুরু করেছিল ২০১৬ সালের মে মাসে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্পের সাফল্য কমছে। উজ্জ্বলা প্রকল্পে সুবিধাভোগীর সংখ্যা পড়ছে কেবলই। পরিবার প্রতি বার্ষিক গ্যাস সিলিন্ডারের গড় সংখ্যা ২০১৮ এর মার্চ মাসে ছিল ৩.৬৬। সে বছরের ডিসেম্বরের গড় ছিল ৩.২১। ২০১৯ এর ডিসেম্বরে বার্ষিক গড় দাঁড়িয়েছে ৩.০৮ এ।
২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে দেশ জুড়ে পরিবার প্রতি বার্ষিক এলপিজি ব্যবহারের গড় ছিল ৬.২৫ টি। তবে সাম্প্রতিক পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের এক সমীক্ষায় ধরা পড়েছে সেই গড় গত এক বছরে ৩.০৮ এ এসে দাঁড়িয়েছে। গত ডিসেম্বরের শুরুতে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ) রিপোর্টে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা (পিএমইউওয়াই) প্রকল্পের আওতায় পড়া ১.৯৩ কোটি দেশবাসীর বার্ষিক এলপিজি সিলিন্ডার পাওয়ার গড় এসে ঠেকেছে ৩.৬৬ এ।
আরও পড়ুন, পরিকাঠামো খাতে ১০২ লক্ষ কোটি বিনিয়োগের ঘোষণা কেন্দ্রের
দারিদ্ররেখার নীচে বসবাস করা মহিলা সদস্যদের বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৬ সালের মে মাসে এই প্রকল্প চালু হয়েছিল। প্রকল্প চালু করার পেছনে সরকারের ভাবনা ছিল এতে জৈব সার ব্যবহার করে রান্না করার চল কমবে। এখন ক্রমশ রান্নার গ্যাসের চাহিদা এই পরিবারগুলোতে কমার ফলে তেল সংস্থাগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তেল সংস্থাগুলোর ওপর এমনিতেই বিপুল ঋণের বোঝা রয়েছে।
পিএমইউওয়াই সুবিধাভোগী রাজ্যের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা, এবং রাজস্থানে সিলিন্ডার 'রিফিল বুক' করার প্রবণতা কমছে। সার্বিক গড়ের তুলনায় এই সমস্ত গ্রামের সিলিন্ডারের চাহিদা আরও কম।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে দারিদ্ররেখার নীচে অবস্থিত ৮ কোটি মহিলার জন্য বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০১৯ এর সেপ্টেম্বরে, নির্দিষ্ট সময়ের সাত মাস আগেই সেই লক্ষ্য অর্জন করেছে কেন্দ্র। সুবিধাভোগীদের মধ্যে অধিকাংশই অর্থনৈতিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণির। এই প্রকল্প চালু করে সারা দেশে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারের সংখ্যাও (৯৬.৫ শতাংশ) বেড়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।