Stock Market Crash: ডলারের পরিবর্তে টাকার দামে ব্যাপক পতন! আমেরিকার পদক্ষেপে ভারতীয় শেয়ার বাজারের বিরাট ধ্বস। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ৪.৫৩ লক্ষ কোটি টাকা হারালেন বিনিয়োগকারীরা।
ডলারের বিপরীতে টাকার দর ২৭ পয়সা কমে সর্বকালের সর্বনিম্ন ৮৬.৩১ এ পৌঁছেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর, আমেরিকার পরিস্থিতি ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে, যার কারণে ডলার শক্তিশালী হচ্ছে। ডলার শক্তিশালী হওয়ার সাথে সাথে ভারতীয় টাকা দুর্বল হয়ে পড়ছে। এদিকে শেয়ার বাজারেও ধ্বস অব্যাহত। ৮৩০ পয়েন্টের বেশি পড়ল সেনসেক্স। অপরদিকে নিফটির সূচক নেমেছে প্রায় ২৪৭ পয়েন্ট। এক ধাক্কায় বিনিয়োগকারীরা ৫ লক্ষ কোটি টাকা হারিয়েছেন।
দেশের শেয়ার বাজারে পতন অব্যাহত। গত কয়েক দিন ধরে বাজারে টানা পতন চলছে। আজ সকালেও তার ব্যতিক্রম দেখা যায়নি। সোমবার সকাল বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক সেনসেক্স প্রায় ১.০৬ শতাংশ অথবা ৮১৯.৫৪ পয়েন্ট কমে হয়েছে ৭৬৫৫৯.৩৭ । এদিকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফটি প্রায় ১.০৬ শতাংশ অথবা ২৪৮.০৬ পয়েন্ট কমে হয়েছে ২৩১৮২.৯০ পয়েন্ট। বাজারের এই পতনের কারণে, বিএসইতে তালিকাভুক্ত সমস্ত কোম্পানির বাজার মূলধন ৫.০৪ লক্ষ কোটি টাকা কমে ২২৪.৬৩ লক্ষ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
সোমবার, তেলের দাম ৩ মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। এর ফলে বিশ্বের শীর্ষ এবং তৃতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ হিসাবে চিন এবং ভারতে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল সরবরাহের উপর প্রভাব পড়বে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যদি অপরিশোধিত তেলের দাম এভাবে বাড়তে থাকে, তাহলে বাজার আরও চাপের মুখে পড়তে পারে।
ডলারের বিপরীতে ভারতীয় টাকার দাম ২৩ পয়সা কমে সর্বকালের সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে। আজ প্রাথমিক লেনদেনে, টাকার দাম নেমে হয়েছে ৮৬.২৭ টাকা। ২০ জানুয়ারি, ডোনাল্ড আমেরিকার নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন। তার নীতি কী হবে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। এই কারণে বিনিয়োগকারীরা সতর্ক।
এছাড়াও, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ক্রমাগত শেয়ার বিক্রিও ভারতীয় বাজারকে দুর্বল করে তুলছে। শুক্রবার বিদেশী বিনিয়োগকারীরা (এফআইআই) বাজার থেকে অর্থ তুলে নিয়েছে। গত বছরের শেষ কয়েক মাস থেকে এফআইআইরা ধারাবাহিকভাবে বিক্রি করে আসছে। এতে বাজারে চাপ তৈরি হয়েছে।