/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/03/N_CHANDRASEKHAR.jpg)
তুরস্ক বা অন্য কোনও দেশ থেকে নিয়ে আসা বিদেশি কোনও কেউকেটা ব্যক্তি না। দেশীয় সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্ব একজন ভারতীয়র কাঁধেই শেষ পর্যন্ত তুলে দিল টাটা গোষ্ঠী। বিমান সংস্থাটির নতুন চেয়ারম্যান হলেন এন চন্দ্রশেখরন। তিনি টাটা সন্সের প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। ফেব্রুয়ারিতে ফের আগামী পাঁচ বছরের জন্য তাঁকে টাটা সন্সের কার্যনির্বাহী চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গেই চন্দ্রশেখরনের হাতে গেল এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্বও।
দীর্ঘ ৬৯ বছর পর গত জানুয়ারিতেই টাটা গ্রুপ ফিরে পেয়েছে জাতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার কর্তৃত্ব। একসময় এয়ার ইন্ডিয়ার জন্ম হয়েছিল টাটা গ্রুপের হাত ধরেই। স্বাধীনতার পর এই বিমান সংস্থাটিকে রাষ্ট্রায়ত্ত করে নেওয়া হয়েছিল। সেটাই ফের টাটা গ্রুপের হাতে ফেরত গিয়েছে। তারপর থেকেই চলছিল এক উপযুক্ত ব্যক্তির সন্ধান। যাঁর হাতে সাধের এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্ব তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চাইছিলেন টাটা কর্তারা।
এন চন্দ্রশেখরন ২০১৬ সালের অক্টোবরে প্রথমবার টাটা সন্সের বোর্ড অফ ডিরেক্টরসের সদস্য হন। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে সাইরাস মিস্ত্রিকে অপসারণ করা হয়। তার পর চন্দ্রশেখরনের চওড়া কাঁধেই টাটা সন্সের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সঁপে দেয় টাটা গোষ্ঠী। তাঁর প্রতি এই আস্থার পিছনে আছে দীর্ঘ ইতিহাস।
আরও পড়ুন- জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া, স্বীকার করে নিল কেন্দ্রীয় সরকারও
এর আগে নটরাজন চন্দ্রশেখরন টাটাদের বেশ কয়েকটি সংস্থার দায়িত্ব সামলেছেন। কখনও টাটা স্টিল, কখনও টাটা মোটরস, কখনও আবার টাটা পাওয়ার, এমনকী টাটা কনসালটেন্সি বা টিসিএসের দায়িত্বও সামলেছেন চন্দ্রশেখরন। ২০০৯ থেকে ১৭, এই আট বছরে তাঁকে টাটার বিভিন্ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গিয়েছে।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে তুরস্কের বিশিষ্ট শিল্পকর্তা ইলকার আইসিকে টাটা গ্রুপ তাদের এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভেবেছিল। কিন্তু, এই খবর বিভিন্ন মহলে প্রকাশিত হয়। তার প্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারির গোড়ায় আইসি পালটা বিবৃতি দেন। তিনি জানান, পয়লা এপ্রিল তাঁর এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্ব নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তার আগে এই নিয়োগকে অবাঞ্ছিত রং চড়িয়ে খবর পরিবেশন হচ্ছে। আইসির এই বিবৃতির পরই দেখা গেল, চন্দ্রশেখরনের হাতে তুলে দেওয়া হল এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্ব।
Read story in English