Advertisment

দেশে ফের সম্পদ কর চালু করার প্রস্তাব নোবেলজয়ী অভিজিতের

এই অসাম্যের আবহে দাঁড়িয়ে সম্পদ কর চালু করাটাই যুক্তিযুক্ত। সম্পদের পুনর্বন্টনেরও প্রয়োজন রয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বিস্ফোরক নোবেলজয়ী অভিজিৎ

সম্ভাব্য আর্থিক মন্দা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রকে জোরদার করাই এখন সরকারের কর্তব্য, মনে করছেন ২০১৯ এর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা সাহিত্য উৎসবের মঞ্চে এই মন্তব্য করেন অর্থনীতিবিদ।

Advertisment

"আমি এটুকুই বলতে পারি, আমাদের দেশ আর্থিক মন্দার মধ্যে দিয়ে যেতে পারে। তবে কতোটা, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে এখনও পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য নেই, যা থেকে বলা যায় মন্দা হবে না", কলকাতা সাহিত্য সম্মেলনে যোগ দিতে এসে বলেন অধ্যাপক বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভারতের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে অসাম্যের প্রসঙ্গে অধ্যাপক বলেন, ২০২০ এর বাজেটে সরকারের উচিত সম্পদ কর চালু করা। সম্পদের পুনর্বন্টনের ওপরেও জোর দেওয়ার কথা বলেন তিনি। নোবেলজয়ীর কথায়, "এই অসাম্যের আবহে দাঁড়িয়ে সম্পদ কর চালু করাটাই যুক্তিযুক্ত। সম্পদের পুনর্বন্টনেরও প্রয়োজন রয়েছে। যদিও অদূর ভবিষ্যতে সেরকমটা হবে বলে আশা করছি না এখনই"।

আরও পড়ুন, ভারতের আর্থিক মন্দা সাময়িক: আইএমএফ প্রধান

ব্যাঙ্কিং এবং পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সরকারি অনুদানের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ। তবে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করলে যে এখনি হাতে নাতে ফল পাওয়া যাবে না, তাও জানিয়েছেন তিনি।

জয়পুর সাহিত্য উৎসবে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ভারতে থাকলে কী এত বড় সম্মান অর্জন করতে পারতেন? জবাবে নোবেল জয়ী বলেন, ‘না পারতাম না।’ নিজের উত্তরের সপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘ভারতে যোগ্যতার অভাব নেই। তবে, সঠিক কার্য প্রক্রিয়া দরকার। একার পক্ষে সমস্ত কাজ সব সময় করা সম্ভব হয় না। সকলের সঙ্গে কাজ করলে অনেক সুবিধা হয়।’

সঠিক কার্যপ্রক্রিয়ার জন্য দেশের বিরোধী দলগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন নোবেল জয়ী। তাঁর কথায়, ‘ভাল বিরোধী দলের প্রয়োজন। এরাই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। শাসক পক্ষকে কড়া নজরদারিতে রাখতে গণতন্ত্রে ভাল বিরোধী শিবিরের প্রয়োজনীয়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ দারিদ্রতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিজিৎ বলেন, ‘যারা দারিদ্র সীমার নীচে রয়েছেন তাদেরকে কাজের ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘জমি দিয়ে নয়, উল্টে দরিদ্রদের গরু, ছাগল বা চাষের সরঞ্জাম সামগ্রী দিয়ে সাহাযয়তা করতে হবে। উন্নয়নের পথ দেখাতে হবে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে দরিদ্র মানুষগুলোর আয় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে ও তারা খুশি হয়ে উঠবে। ফলে তারা আরও আগ্রহের সঙ্গে কাজ করবে।’

Advertisment