করোনায় লকডাউন পরিস্থিতিতে দেশে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। এই কঠিন সময়ে দেশে বেকারত্বের হারের এক ছবি সামনে এল। পিরিওডিক লেবার ফোর্স সার্ভের (পিএলএফএস) রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, ২০১৮-১৯ সালে দেশে বেকারত্বের হার ৫.৮ শতাংশ। দেখা গিয়েছে, দেশে বেকারত্বের হারের থেকে দিল্লি, বিহার, হরিয়ানা, কেরালা, গোয়া, ওড়িশা, পাঞ্জাবের মতো ২০টি রাজ্য় ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বেকারত্বের হার বেশি। আবার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, কর্নাটক, পশ্চিমবঙ্গের মতো বাকি ১৬টি রাজ্য়ের বেকারত্বের হার দেশের বেকারত্বের হারের তুলনায় কম।
১৫ বছর বা তার ঊর্ধ্বে বয়সীদের বেকারত্বের হার সবথেকে বেশি দিল্লি, বিহার, হরিয়ানা, কেরালা, গোয়া, পাঞ্জাব, ওড়িশায়। জানা যাচ্ছে, এই বয়সসীমার মধ্য়ে দিল্লিতে বেকারত্বের হার ১০.৪ শতাংশ, বিহারে হার ৯.৮ শতাংশ, হরিয়ানায় ৯.৩ শতাংশ, কেরালায় ৯ শতাংশ, গোয়ায় ৮.৭ শতাংশ, পাঞ্জাবে ৭.৪ শতাংশ, ওড়িশায় ৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: চতুর্থ ত্রৈমাসিকে একলাফে ৪ গুণ বাড়ল এসবিআই-এর মুনাফা
২০১৮-১৯ সালের পিরিওডিক লেবার ফোর্স সার্ভে গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে দ্য় ন্য়াশনাল স্ট্য়াটিস্টিক্য়াল অফিস। যেখানে দেখা গিয়েছে, বেকারত্বের হার এক বছর আগে ৬.১ শতাংশ থেকে সামান্য় কমে হয়েছে ৫.৮ শতাংশ।
২০১৮-১৯ সালে ১৫-২৯ বছর বয়সীদের মধ্য়ে সর্বভারতীয় স্তরে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ১৭.৩ শতাংশ। এই বয়সসীমার মধ্য়ে যেসব রাজ্য়ে বেকারত্বের হার সর্বাধিক, সেগুলি হল, কেরালা (৩৫.২ শতাংশ), বিহার (৩০.৯ শতাংশ), তেলঙ্গানা (২৭.৪ শতাংশ), গোয়া (২৪.২ শতাংশ), তামিলনাড়ু (২৪ শতাংশ), উত্তরাখণ্ড (২৩.৫ শতাংশ), দিল্লি (২২.৫ শতাংশ)।
অন্য়দিকে, এই বয়সসীমার মধ্য়ে সর্বভারতীয় স্তরে বেকারত্বের হারের তুলনায় রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, মধ্য়প্রদেশ, গুজরাতের মতো রাজ্য়ে বেকারত্বের হার কম। রাজস্থানে এই হার ১৪.৯ শতাংশ, কর্নাটকে ১১.৮ শতাংশ, মধ্য়প্রদেশে ১০.৪ শতাংশ, গুজরাতে ৮.৪ শতাংশ।
স্নাতকদের মধ্য়ে বেকারত্বের হার সর্বাধিক বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, তেলঙ্গানার মতো রাজ্য়গুলোতে। এই রাজ্য়গুলোতে শহুরে যুবকদের বেকারত্বের হার সর্বভারতীয় স্তরে হারের তুলনায় বেশি। ২০১৮-১৯ সালে সর্বভারতীয় স্তরে শহুরে যুবকদের বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ১২.৯ শতাংশে, যেখানে বিহারে এই হার ১.৩ শতাংশ।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন