অনাদায়ী ঋণ আদায়ে এবার ভারতের ব্যাঙ্কগুলির উপর চাপ বাড়াল ভোডাফোন আইডিয়া লিমিটেড। চলতি অর্থ বছরে সংস্থাটির দীর্ঘ মেয়াদী ঋণের পরিমাণ প্রায় ১,০৪,৪০২ কোটি টাকা এবং স্বল্পমেয়াদী ঋণ প্রায় ৪১২০ কোটি টাকা। বিপুল পরিমাণ এই দেনার বোঝা মাথায় নিয়ে অস্বস্তিতে ভোডাফোন সংস্থা।
আরও পড়ুন- ভারতে ক্ষতবিক্ষত ভোডাফোন আইডিয়া, হাত গোটাচ্ছে মূল ব্রিটিশ সংস্থা?
ব্যাঙ্কিং এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইন্ডাস্ট্রিসূত্রে খবর, টেলিকম সংস্থাটির ক্ষতির পরিমান যদি আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকে, সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ বাড়তে পারে ব্যাঙ্কগুলির উপর। তাঁদের বক্তব্য, সরকারের উচিত অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করে ভারতের টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির জন্য সমাধানের পথ তৈরি করা। চলতি অর্থ বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ভোডাফোন-আইডিয়ার মোট ক্ষতির পরিমাণ ৫০,৯২১ কোটি টাকা ৷ যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক ৷ পাশাপাশি ২৩,০৪৫ কোটি টাকা লোকসানের মুখ দেখেছে ভারতী এয়ারটেলও।
আরও পড়ুন- তথ্য জানতে বার বার জরুরি অনুরোধ ভারত সরকারের, ফেসবুকের বিস্ফোরক দাবি
এদিকে, টেলিকম ক্ষেত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়ে চিন্তিত ব্যাঙ্কাররাও। তাঁদের দাবি, সরকারি সাহায্যও যথেষ্ট নয় টেলিকম সেক্টরগুলির জন্য। কারণ, ব্যাঙ্কগুলির নিজেরও সেই সাহায্যর দরকার। এমনকি ভোডাফোন আইডিয়ার কাছে ৩৫০০ কোটি টাকা ধার রয়েছে মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থাগুলিরও, যা ভাবাচ্ছে সংস্থাটিকে। মিউচুয়াল ফান্ডের উচ্চপদস্থ দুই আধিকারিকেরা জানিয়েছেন অবিলম্বে কেন্দ্রের এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা উচিত। ব্যাঙ্কারদের মতে, ব্যাঙ্কিংয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণেই ধ্বসের মুখে টেলিকম পরিষেবা। রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "যদি টেলিকম সংস্থাগুলি দেউলিয়া হয়ে যায়, তাহলে বড় ক্ষতির মুখে পড়বে ব্যাঙ্কগুলিও। সরকারের উচিত টেলিকম ক্ষেত্রটিকে সাহায্য করা। যদি এই সেক্টরটি কোনও সাহায্য না পায়, সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কী হবে আমরা কেউ জানি না।"
এদিকে, ভোডাফোন, এয়ারটেলের দাবি, সংস্থাগুলির আয়ের নিরিখে লাইসেন্স ও স্পেকট্রাম ব্যবহারের ফি ধার্যের নির্দেশ তাদের উপরে যে আর্থিক দায় তার জন্য অর্থের সংস্থান করতে গিয়েই ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্দি পেয়েছে। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় ত্রাণ প্রকল্পের দাবিতে অনড় থাকার কথা জানিয়েছে তারা।
Read the full story in English