গত মঙ্গলবারই আয়কর জমা দেবার সময়সীমা এক মাস বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ৩১ জুলাইয়ের পরিবর্তে ৩১ অগাস্টের মধ্যে আয়কর জমা দিতে হবে। তবে আয়কর নিয়ে অনেকের মধ্যেই ভুল ধারণা রয়েছে। নির্ধারিত ট্যাক্স স্ল্যাবের কম আয় হলে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়না বলেই ধরে নেন দেশের অধিকাংশ নাগরিক। কিন্তু বাস্তবে করযোগ্য আয় না হলেও আয়কর জমা দেওয়ার অনেক সুবিধা রয়েছে। একনজরে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক সে সবের ওপরে।
৬০ বছরের নীচে এবং বার্ষিক আয় আড়াই লক্ষের বেশি হলে আয়কর ফাইল করা বাধ্যতামূলক। ৬০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে বয়স হলে বার্ষিক ৩ লক্ষ টাকার ওপর আয় হলে আয়কর ফাইল করা আবশ্যিক। বাৎসরিক আয় আড়াই লক্ষের কম হলে আয়কর ফাইল করা বাধ্যতামূলক নয়। তবে তা সত্ত্বেও যদি ফাইল করেন, নিম্নলিখিত সুযোগ গুলি পাবেন।
আরও পড়ুন, আয়কর রিটার্ন ফাইলের তারিখ কেন এক মাস পিছোল
ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা
বেতনভোগীদের জন্য বাড়ি-গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ঋণ নেওয়ার আকছার প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে আয়কর রিটার্নের কাগজপত্তর দেখালে ঋণ পাওয়া সহজ হয়।
ভিসা পাওয়ার সুবিধা
ইনকাম ট্যাক্স রিটার্নের স্টেটমেন্ট দেখালে বিদেশের ভিসা পেতে সুবিধে হয়। সে ক্ষেত্রে কাগজপত্তর দেখিয়ে কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করা যায় বিদেশে গিয়ে ভিসাপ্রার্থী নিজের খরচ নিজে সামলাতে পারবেন।
ট্যাক্স রিফান্ড দাবি করা সহজ
এমনটা হতেই পারে, আপনি বাড়তি টিডিএস কাটিয়ে ফেলেছেন। অথবা আপনি কোনও খাতে বিনিয়োগ করেছেন, সেক্ষেত্রেও টিডিএস কেটে নেওয়া হয়েছে। আয়কর ফাইল করা থাকলে আইনি পথেই তা ফেরত পেতে পারবেন আপনি।
বেশি অংকের জীবন বিমা করানোর ক্ষেত্রে সুবিধা
আয়কর বিবৃতি থেকে নাগরিকের আয় সংক্রান্ত বিষয়ের পুরোটাই জানা যায়। ৫০ লক্ষ টাকার ওপরে জীবন বিমা করাতে গেলে আয়কর বিবৃতি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
করদাতাদের জন্য আয়কর রিটার্ন ফাইলের শেষ তারিখ ৩১ জুলাই করার নতুন নিয়ম গত বছর থেকে কার্যকর হয়েছে। এর আগে করদাতারা জরিমানা ছাড়া রিটার্ন ফাইল করতে পারতেন ৩১ মার্চের মধ্যে। যদি ৩১ মার্চের মধ্যে আয়কর রিটার্ন ফাইল না করে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কেউ রিটার্ন ফাইল করতেন, তাহলে তাঁকে ৫০০০ টাকা জরিমানা দিতে হত। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে আয়কর রিটার্ন ফাইল করলে জরিমানা হবে ১০০০০ টাকা। যদি কোনও ব্যক্তির রোজগার ৫ লাখ টাকার বেশি না হয়, তাহলে তাঁর জরিমানা ১০০০ টাকা ছাড়াবে না।