করোনার জেরে দেশের অর্থনীতি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। লকডাউন এবং করোনা অতিমারীর কারণে যেভাবে দেশের মানুষের মাসিক এবং দৈনিক আয়ে কোপ পড়েছে সেই প্রেক্ষাপটে ভারতের চলতি আর্থিক বর্ষে জিডিপি আরও ৯.৬ শতাংশ কমবে বলেই বৃহস্পতিবার সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। শুধু তাই নয়, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আগের চেয়ে আরও খারাপ হয়েছে এমনটাই জানান হয়েছে।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক এই বিশ্বব্যাঙ্ক আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (ইন্টারন্যাশনাল মনেটারি ফান্ড)-এর বার্ষিক বৈঠকের আগে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকেই সাম্প্রতিক রিপোর্টে ব্যাখা করেছে। সেখানে প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক মন্দার চেয়ে আরও খারাপ সময় আসছে, এমনটাই ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। বলা হয়েছে ২০২০-এর অর্থবর্ষে আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধির ৭ শতাংশ সংকোচন হবে। মার্চ থেকেই জিডিপির গ্রাফ নামতে শুরু করেছে ভারতে তা জানান হয় বিশ্বব্যাঙ্কের বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন, চিনের ‘একতরফা আগ্রাসনের’ সমস্ত প্রতিবেদন মুছল প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে
কোভিডের জেরে বাজারে চাহিদা কমছে অনেকটাই, ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক পরিষেবা ক্ষেত্র। বেসরকারি লগ্নিও কার্যত স্তব্ধ। এহেন পরিস্থিতিতে ২০২১ সালে রিজিওনাল গ্রোথ ৪.৫ শতাংশে নামবে বলে মত অর্থনৈতিক উপদেষ্টাদের। তবে মাথাপিছু অ্যায় ২০১৯ সালের মতো একই থাকবে। অতিমারীর জেরে সেই পরিসংখ্যানে উল্লেখযোগ্য কিছু বদল আসবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রধান তথা অর্থনীতিবিদ হ্যানস টিমারের একটি সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এর আগে যা পরিস্থিতি দেখেছি তার চেয়ে ভারতের পরিস্থিতি আরও খারাপ। এটি একটি ব্যাতিক্রমী অবস্থা। তবে খুবই মারাত্মক।"
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেই ২৫ শতাংশ কমেছিল মোট জিডিপির পরিমাণ। বিশ্বব্যাঙ্ক প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এবং লকডাউনের জেরে ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতির মুখ দেখেছে বাজারের চাহিদা এবং জোগান। অর্থনীতির এই দুই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রের অবস্থা ভঙ্গুর হওয়াতেই এই জিডিপি পতন ভারতে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন