Wholesale Price Index: দেশে বাড়লো পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি। নভেম্বরের মুদ্রাস্ফীতি ১৪.২৩%, কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই খবর। অকটোবর থেকেই উর্দ্ধমুখী পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি (১২.৫৪%)। সেপ্টেম্বরের মুদ্রাস্ফীতি সংশোধিত হার ছিল ১১.৮০%। যদিও আগে সে মাসে প্রকাশিত পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১০.৬৬%। গত বছর ৫-এর নিচে ছিল মুদ্রাস্ফীতি। গত নভেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি হার ছিল ২.২৯%। মন্ত্রকের বিবৃতিতে উল্লেখ, চলতি বছর খনিজ তেল, অপরিশোধিত জ্বালানি এবং প্রাকৃতিক গ্যাস এবং খাদ্যপণ্যের দাম খোলা বাজারে দাম চড়া থাকায় ১২%-এর উপরে দাঁড়িয়েছে মুদ্রাস্ফীতির হার।'
জানা গিয়েছে, নভেম্বরে খাদ্যপণ্যের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৪.৮৮%। গত বছর এই হার ছিল ঋণাত্মক ( -১.৬৯%)। একইভাবে শাকসবজির মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৩.৯১%। চলতি অর্থবর্ষের অক্টোবরে বাড়ল দেশের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি। গ্রাহক মুদ্রাস্ফীতি নামে পরিচিত এই সূচক বেড়ে ৪.৪৮% হয়েছে। সেপ্টেম্বরে এই সূচক ছিল ৪.৩৫%। অর্থাৎ পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। তবে ২০২০-র তুলনায় চলতি বছর সেপ্টেম্বরে বেড়েছে শিল্পোৎপাদন। ২০২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইআইপি সূচক বেড়ে ৩.১%। শুক্রবার এই পরিসংখ্যান সামনে এনেছে পরিসংখ্যান এবং পরিকল্পনা মন্ত্রক।
এই নিয়ে পরপর চারবার গ্রাহক মুদ্রাস্ফীতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘোষিত সূচকের নীচে। সর্বাধিক ৬%, আরবিআই ঘোষণা করলেও, ৫%-র নীচেই থেকেছে এই সূচক। এদিকে, নোটবন্দির ৫ বছরের মাথায় এখনও নগদে লেনদেনে বেশি স্বচ্ছন্দ জনগণ। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক তথ্যে এই প্রসঙ্গের উল্লেখ রয়েছে। জানা গিয়েছে, ৮ অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত মানুষের হাতে ২৮.৩০ লক্ষ কোটি টাকার নগদ ছিল। নভেম্বর ৪, ২০১৬-এর হিসাবে যা ৫৭.৪৮% বেশি। অঙ্কের হিসেবে ১০.৩৩ লক্ষ কোটি টাকা বেশি। ২০২০ অক্টোবর অর্থাৎ সেই বছর দীপাবলির সময়ে মানুষের হাতে ১৫,৫৮২ কোটি টাকা নগদ ছিল। ২০১৯-র হিসাবে যা ৮,৫% বা ২.২১ লক্ষ কোটি বেশি। এমনটাই দাবি রিসার্ভ ব্যাঙ্কের