করোনা আবহে দেশের যুব সমাজের মধ্যে জীবন বিমায় বিনিয়োগ বাড়ছে। স্বনির্ভর তরুণ প্রজন্ম নিজেদের মতো করেই লাইফ ইন্সুরেন্সে বিনিয়োগ করে পরিবারকে আর্থিক স্বাবলম্বী করে তোলার চেষ্টা করছে। একাধিক বেসরকারি জীবনবিমা সংস্থার সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গিয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে তরুণদের মধ্যে মৃত্যুর হার ছিল বেশি। তৃতীয় ঢেউয়ের সময় পরিস্থিতি একই থাকলে পরিবারকে অথৈ জলে যাতে পড়তে না হয়। তাই এই বিচক্ষণতা। এমনটাই জীবনবিমা সংস্থা সূত্রে খবর।
মুম্বাইয়ের এক পিআর সংস্থার একজিকিউটিভ বছর ২৪-এর বেভারলি কৌটিনহো বলেন, ‘আমি চোখের সামনে আমার বয়সী অনেককে মরতে দেখেছি। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেভাবেই হোক আগে জীবনবিমা করব। আমি চাই না আমার কিছু হলে, অর্থের জন্য পরিবার বিপদে পড়ুক।‘
ইতিমধ্যে দেশের করোনায় মৃত্যু প্রায় ৪ লক্ষ ছুঁইছুঁই। মৃত্যুর সংখ্যায় বিশ্বে তৃতীয় দেশ ভারত। আগে শুধু ইউএস এবং ব্রাজিল। যদিও ভারতে মৃত্যুর নিরিখে সরকারি এই সংখ্যায় গরমিল রয়েছে। এমনটাই দাবি বিরোধীদের। কারণ সঠিক নমুনা পরীক্ষা এবং মৃতের সঠিক পরিসংখ্যান সামনে এলে ভারতে সংক্রমিত এবং মৃত্যুর সংখ্যা গোটা বিশ্বকে ছাপিয়ে যেত। এমনটাই দাবি বিরোধীদের।
বিমা সংস্থার একটা ওয়েবসাইটে উল্লেখ, এপ্রিল-মে মাসে ২৫-৩৫ বছরের মধ্যে টার্ম ইন্সুরেন্সে বিনিয়োগের ঝোঁক ছিল বেশি। ফেব্রুয়ারি-মার্চের থেকে প্রায় ২৫% তরুণ-তরুণী এই ইন্সুরেন্সে বিনিয়োগ করেছেন। এর পিছনে কারণ হিসেবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউকেই দেখছেন বিমা বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, ‘দ্বিতীয় ওয়েভে সংক্রমণ অত্যাধিক ছিল এপ্রিল-মে মাসে। তাই সেই সময়ে খানিকটা আশঙ্কা থেকেই এই বিনিয়োগ।‘
তবে এই আশঙ্কা একপক্ষে মন্দের ভালো। এমনটাই বলছেন বিমার কারবারিরা। তাঁদের মন্তব্য, ‘অতিমারিতে হলেও দেশের তরুণ প্রজন্ম এটা বুঝতে পেরেছে জীবন বিমার দরকার। জীবন বাঁচাতে অর্থের সংস্থান করে রাখার লক্ষ্য থেকেই এই সিদ্ধান্ত।‘
: