জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জগদীশ কুমারের অপসারণ চান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০ শতাংশের বেশি শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ৭ অগাস্ট এ নিয়ে রেফারেন্ডাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই রেফারেন্ডামে বিশ্ববিদাযালয়ের বাইরের পরিদর্শকও উপস্থিত ছিলেন। জেএনইউ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এ থেকে পরিষ্কার, উপাচার্যের আর এ পদে থেকে কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত নয়।
জেএনইউ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘জেএনইউয়ের ৯৩ শতাংশ শিক্ষক রেফারেন্ডামে উপাচার্যের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। জেএনইউ-য়ের ৫৮৬ জন ফ্যাকাল্টি সদস্যের মধ্যে ৩০০ জন ভোট দিতে হাজির হয়েছিলেন। ভোটদাতাদের ২৭৯ জন উপাচার্যের অপসারণের পক্ষে মত দিয়েছেন।
টিচার্স বডির অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণভাবে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়ে রয়েছে। শিক্ষকদের ব্যক্তিগত ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে, এবং অ্যাকাডেমিক ও অন্যান্য বিষয়ে বিরোধিতা ব্যক্ত করার জন্য তাঁদের নোটিস পাঠানো হচ্ছে।
জেএনইউয়ের তরফ থেকে হায়ার এডুকেশন ফান্ড এজেন্সির মাধ্যমে যে কয়েক কোটি টাকার ঋণ চাওয়া হয়েছে, শিক্ষকরা তারও বিরোধিতা করেছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
হায়ার এডুকেশন ফান্ড এজেন্সির ঋণের প্রস্তাব রেফারেন্ডামের ৯৬ শতাংশ শিক্ষকই বিরোধিতা করেছেন বলে জেএনইউটিএ (জেএনইউ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন)-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জেএনইউ-য়ের উপাচার্য জগদীশ কুমারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কারণে ক্ষোভ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-প্রাক্তনীরা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সেনা ট্যাঙ্ক বসিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগ্রত করার প্রস্তাব দিয়ে রীতিমতো বিতর্ক তুলে দিয়েছিলেন তিনি। গত বছর প্রথমবার জেএনইউ তে কার্গিল বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। সেই বিজয় দিবস অনুষ্ঠানেই ট্যাঙ্ক বসানোর কথা উত্থাপন করেছিলেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যাঙ্ক বসানোয় ব্যাপারে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন জগদীশ।