বিভিন্ন স্কুলে , বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় ৪২,8৩১ জন শিক্ষার্থীদের পারিবারিক অবস্থা পর্যবেক্ষন করে, এক সমীক্ষায়
দেখা গিয়েছে, যে করোনো ভাইরাসের কারণে লকডাউন চলাকালীন প্রায় ৫৬ শতাংশ শিক্ষার্থী স্মার্টফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে লেখাপড়া করতে পারছে না।
কোভিড-১৯ এর সময়কালে বর্তমান অবস্থা কেমন তার উপর সমীক্ষা করে এনজিও স্মাইল ফাউন্ডেশন। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল, প্রযুক্তি কতটা ব্যবহার করতে পারছে শিক্ষার্থীরা, তার পর্যবেক্ষন করা।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৪৩.৯৯ শতাংশ শিশু স্মার্টফোনে লেখাপড়া করতে পেরেছে এবং ১২.০২ শতাংশ কোনোভাবেই সাধারণ ফোন বা স্মার্টফোনের মাধ্যমে শুরু করতে পারেনি লেখাপড়া। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মোট ৫৬.০১ শতাংশ শিশুদের কাছে স্মার্টফোনের ব্যবহার নেই বলে জানা গেছে।
টেলিভিশনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, মাত্র ৮.৯৯ শতাংশ টিভিতে পড়াশোনা করতে পারছে। এর ক্ষেত্রেও একটি বড় অংশের (৩১.০১ শতাংশ) শিক্ষর্থীদের কাছে টেলিভিশন নেই। সুতরাং, স্মার্টফোন ব্যবহার করে পড়াশুনা করার পরামর্শ একমাত্র সমাধান সূত্র নয়।
শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে (প্রথম শ্রণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি) ১৯,৫৭৬ জন শিশুদের নিয়ে , উচ্চ প্রাথমিক স্তরে ( ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে) ১২,২৭৭ জন শিক্ষার্থী, মাধ্যমিক স্তরে (নবম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি) ৫,৫৩৭ জন শিক্ষার্থী এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে (একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রণি) ৩,২১৬ জন শিক্ষার্থদের মধ্যে সমীক্ষা করা হয়। এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পড়ুয়াদের দরজায় দরজায় গিয়ে সমীক্ষা চালায়।
দিল্লি, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা সহ ২৩ টি রাজ্যে এই সমীক্ষা চলে। ১৬ই এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১২ দিন ধরে চলে সমীক্ষা।
Read the full story in English