ঘুরে বেড়ানোর নেশা যে কি মারাত্মক, একথা যারা পৃথিবীর নানা প্রান্তে অচেনাকে চিনতে, অজানাকে জানতে মানুষের আগ্রহ দীর্ঘদিনের। সেই ঘুরে বেড়ানোকে কাজে লাগিয়েই নিজেদের পেশাকে আরও মজবুত করেছেন ব্লগাররা। তাঁদের নাম যশ খ্যাতি এখন অনন্য জায়গায় পৌঁছেছে। কিন্তু এছাড়াও বর্তমানে ট্রাভেল জার্নালিজম শব্দটার সঙ্গে কিন্তু অনেকেই পরিচিত।
উচ্চ মাধ্যমিকের পরে ট্রাভেল জার্নালিজমের এখন সুযোগ অনেকটাই বেশি। বিশেষ করে, যারা বিশ্ব ভ্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে অন্য ছন্দ দিতে চায় তাঁদের কিন্তু এইদিকে এক বিরাট সুযোগ। কিভাবে ট্রাভেল জার্নালিজমকে কেরিয়ারের অপশন হিসেবে বেছে নেওয়া যায় সেই প্রসঙ্গে ধারণা দিচ্ছেন ট্রাভেল জুয়েলস এর অরিজিৎ ভট্টাচার্য।
ট্রাভেল জার্নালিজমের জন্য কোনও ডিগ্রি প্রয়োজন?
নিয়ে রাখলে ভাল। কারণ, অনেক জায়গাতেই ট্রাভেল জার্নালিজম এর ডিগ্রি দেখে চাকরির সুযোগ মেলে। বিশেষ করে ইন্টার্নশিপের ক্ষেত্রেও একটা পুথিগত বিদ্যার প্রয়োজন হয়। তবে, সেটা একটা নির্দিষ্ট জায়গা অবধি। আন্দাজ এবং দেখার নজর না থাকলে সম্ভব না। ট্যুরিজম এবং হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এর একটা কোর্স করা রাখলেই ভাল।
ট্রাভেল ব্লগার এবং জার্নালিস্ট - এই দুজনের মধ্যে পার্থক্য কী?
ট্রাভেল জার্নালিস্ট যারা তাদের একটা জায়গা সম্পর্কে খুব নাক থাকা দরকার। শব্দটা আছে না 'nose for news' এই বিষয়টি। সব জায়গায় গেলাম, আর তারপর সেটা নিয়েই একটা টোনে লিখতে শুরু করলাম এটা চলে না। সবকিছু খুব ডিটেলস হতে হয়। নিত্যনতুন কিছু থাকতে হয় স্টোরিতে। তবেই সেটি ভাল লাগে।
ট্রাভেল জার্নালিজম অনেকটা বিশেষ কিছুকে তুলে ধরে। যেমন, কেউ কেউ স্পেশালাইজড হন স্থাপত্যের ওপর। আবার কেউ কেউ ঐতিহাসিক জায়গা বেছে নেন। কেউ কেউ প্রকৃতি বেশি পছন্দ করেন। সুতরাং, সবকিছুই খুব গবেষণামূলক হওয়া উচিত।
কী বিষয়গুলো নজরে রাখলে ভাল:-
প্রথম তো, ভুল তথ্য নয়। এটা মারাত্মক হতে পারে। তাঁর থেকেও বড় কথা, ম্যাগাজিন, অন্যান্য লেখা পড়া উচিৎ।
দ্বিতীয়, ফেক ছবি অথবা এডিট করা ছবি। কালার কারেকশন করা ছবি এগুলো মানুষের কাছে খুব ভুল তথ্য তুলে ধরতে পারে। তাই একদম এগুলো করা ঠিক নয়।
তৃতীয়, পিচিং কোয়ালিটি... কিভাবে এটাকে পাবলিকেশনের কাছে পিচ করলে লাভ হবে সেটা জানা খুব দরকার। অর্থাৎ, লোকেশন রিসার্চ, হিউম্যান ইন্টারেস্ট এগুলো জানতে হবে।
স্কোপ কেমন?
বর্তমানে এর সুযোগ অনেক রয়েছে। কারণ মানুষ এখন বেড়াতে যেতে ভালবাসে। তাই নিজের মত করে এটিকে প্রেজেন্ট করা যেতে পারে।
তাঁর সঙ্গে যারা ফটো আর্কাইভ রাখতে ভালবাসেন, তারা এর মাধ্যমে ফটো ফিচার, কিংবা ফটো এ্যালবাম তুলে ধরতে পারেন, যেটি অনেক মানুষের পছন্দ হতে পারে। তবে, ক্রিয়েটিভিটি ভুললে চলবে না।