আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বদল নিয়ে টানাপোড়েন নয়া মোড় নিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের মাঝখানের শব্দ নিয়েই আপত্তি উঠেছে। ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে সরকারের প্যানেল। এবার সরকারের প্যানেলের সেই প্রস্তাব নিয়ে সুর চড়ালেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে উপেক্ষা করে ওই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে ইউজিসি-কে জানালেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সরকারি প্যানেলের ওই প্রস্তাব অযৌক্তিক বলেও মন্তব্য করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।
এ নিয়ে সরকারকে চিঠি লেখেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জাভেদ আখতার। ওই চিঠিতে রেজিস্ট্রার লিখেছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের সম্যক ধারণা তৈরি করে। একইসঙ্গে এটা বজায় রাখা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সরকারের অডিটের জবাবের প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রার জানান যে, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের বদলে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় নাম রাখলে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার মূল্যবোধ স্বীকৃতি পাবে, এমন যুক্তিই প্রতিষ্ঠা করেছে কমিটি। তবে এটা একেবারেই ভুল।
আরও পড়ুন, উত্তরপ্রদেশে বি এড পরীক্ষা দিচ্ছেন বিগ-বি, এসেছে অ্যাডমিট কার্ডও
গত বছর ইউজিসি-র একটি কমিটি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটে এমন প্রস্তাব উত্থাপন করে। উল্লেখ্য, ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মের অভিযোগের তদন্তের জন্য মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে ইউজিসি পাঁচটি কমিটি গঠন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা, পরিকাঠামো, আর্থিক দিক নিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার জন্যই ওই প্যানেল গড়া হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট দিতে গিয়ে প্যানেলের তরফে জানানো হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়’ রাখা উচিত, না হলে, প্রতিষ্ঠাতা স্যার সৈয়দ আহমেদ খানের নামে রাখা হোক। কমিটির তরফে এও জানানো হয়েছে যে, ‘মুসলিম’ শব্দটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের উপর কুপ্রভাব ফেলতে পারে।
যদিও সেসময় এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছিলেন যে, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বদলের প্রস্তাব মানবে না সরকার। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া অন্য কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই করা উচিত বলেও সুপারিশ করে ওই কমিটি।